হাটহাজারী প্রতিনিধি:কুরবানির জবাই করা পশুর বিপুল পরিমাণ অবিক্রিত পচনধরা চামড়া এবং বর্জ্য দেশের একমাত্র রুই জাতীয় (রুই, কাতল মৃগেল ও কালিবাউস) মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ফেলার পর মারাত্মক পরিবেশগত সংকট দেখা দিয়েছে।
নদীর পানি দূষিত হওয়ার পাশাপাশি বিবর্ণ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হালদা বিশেষজ্ঞরা। এতে হালদা নদীর ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। এছাড়া দূষণ বিষয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নির্দেশনায় এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন দোষীর বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয় হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মনজুরুল কিবরিয়া জানান, পশুর চামড়া বা কুরবানির বর্জ্য নদীতে পড়ার কারণে হালদার পরিবেশ ও মা-মাছসহ জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। পশুর চামড়া, রক্ত ও নাড়িভুঁড়ি পানিতে পচে অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড ও অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে এবং দ্রবীভূত অক্সিজেন কমিয়ে দেয়। ফলে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণি শ্বাসকষ্টে মারা যায়। এই দূষণকে বলা হয় ইউট্রোফিকেশন, যা নদীর ইকো সিস্টেমের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের রিসার্চ অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যদের একটি দল সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানির নমুনা সংগ্রহ করেন। তারা বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
You cannot copy content of this page