এনটিআরসিএ (National Teacher Registration and Certification Authority) -র ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শেষ হলেও, ভাইভা পরীক্ষায় ফেল করা প্রার্থীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক প্রতিবাদ। প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন, ভাইভা ফলাফল অস্বাভাবিকভাবে বিপর্যস্ত, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আজ সকাল ৯টা থেকে, ঢাকা শহরের এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে হাজারো ফেল করা প্রার্থী অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে। তারা দাবি করছেন, তাদের ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন ও তদন্ত করা হোক, যাতে বৈষম্য দূর হয়।
এনটিআরসিএর ভাইভা পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে অবিশ্বাস্য অভিযোগ উঠেছে। একাধিক প্রার্থীর দাবি, “এক প্রশ্নেরও উত্তর দিয়ে ফেল করা হয়েছে, আবার কেউ পাঁচটি সঠিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েও ফেল হয়েছে।” এমনকি কিছু প্রার্থীর মতে, বিভিন্ন বোর্ডের মধ্যে বড় পার্থক্য দেখা গেছে। একটি বোর্ডে মাত্র ৩ জন পাস করেছেন, অপর বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে এক বা দুই জন বাদে সকলেই ফেল করেছেন। এই ধরনের ফলাফল অস্বাভাবিক এবং প্রশ্নবিদ্ধ বলে দাবি করছেন আন্দোলনরত প্রার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের দাবী:
১. ভাইভা ফল পুনর্মূল্যায়ন: অনেক প্রার্থীর দাবি, তারা নির্দিষ্ট নিয়ম ও কষ্টে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, কিন্তু ফলাফল তাদের প্রত্যাশিত ছিল না। তাদের দাবি, ফল পুনর্মূল্যায়ন বা পুনঃতদন্ত করতে হবে।
২. বোর্ডভিত্তিক বৈষম্য দূরীকরণ: প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন, বিভিন্ন বোর্ডের ফলাফলে অস্বাভাবিক পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা সঠিক সমান সুযোগ চাচ্ছেন।
৩. এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ: আন্দোলনকারীরা বলেছেন, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের পদত্যাগ না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এছাড়া, তাঁরা সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছে, “এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা বিচার চাই, যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্নীতি ও বৈষম্য আর না হয়।”
প্রতিবাদীরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন এবং সরকারের কাছে ন্যায়বিচারের দাবি জানাবেন। আন্দোলনের সময়, প্রার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে তাদের দাবি তুলে ধরছেন। তারা বলছেন, “এনটিআরসিএর ফলাফল সঠিক হওয়া উচিত, আমাদের ভবিষ্যত আমাদের হাতে। আমরা চাই আমাদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন হোক।”
পরবর্তী কর্মসূচি:
প্রতিবাদী প্রার্থীরা জানিয়েছেন, তারা আগামী কয়েক দিন ধরে এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, এবং প্রয়োজনে তা আরও তীব্র করতে পারেন। তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছে, “আমরা যদি আজকের দিনের মধ্যে কোনো সুষ্ঠু সমাধান না পাই, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।”
এই ঘটনায় এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাননি, তবে পরবর্তীতে সরকারি বিবৃতি আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
You cannot copy content of this page