বাবা, নামটি যেন এক বিশাল বটবৃক্ষের মতো, যার ছায়ায় আমরা বড় হই, নির্ভরতা খুঁজি। বাবার অক্লান্ত পরিশ্রম শুধু পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নয়, বরং আমাদের স্বপ্নগুলোকেও ডানা মেলার সুযোগ করে দেয়। বাবা দিবসে দাঁড়িয়ে আজ মনে পড়ছে সেই সব দিনগুলির কথা, যখন বাবা ছিলেন আমাদের জন্য এক নির্ভীক যোদ্ধা।
ভোর থেকে রাত পর্যন্ত তাঁর কর্মব্যস্ততা, প্রতিটি ঘামের ফোঁটায় মিশে আছে আমাদের জন্য ভালো কিছু করার অদম্য ইচ্ছে। কখনও তিনি দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন, শুধুমাত্র আমাদের প্রয়োজনগুলো মেটানোর জন্য। নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে বিসর্জন দিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে তিনি কখনও পিছপা হননি। তাঁর ক্লান্তিহীন সংগ্রাম যেন এক নীরব আত্মত্যাগ, যা আমরা হয়তো সব সময় উপলব্ধি করতে পারি না।
বাবারা কখনোই নিজেদের কষ্টগুলো প্রকাশ করেন না। তাঁরা হাসিমুখে আমাদের সামনে আসেন, যেন কোনো চিন্তাই তাঁদের স্পর্শ করেনি। কিন্তু আমরা জানি, পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মুখে হাসি ফোটাতে তাঁরা কতটা ত্যাগ স্বীকার করেন। রাতের পর রাত জেগে হয়তো আমাদের পড়ার টেবিলে বসে থাকার শক্তি জোগান তিনি, অসুস্থতায় দেন নির্ভরতার হাত। তাঁর হাত ধরেই আমরা প্রথম হাঁটতে শিখেছি, তাঁর কাঁধে মাথা রেখেই শিখেছি জীবনের অনেক কঠিন পাঠ।
বাবা দিবসে শুধু বাবাকে শুভেচ্ছা জানানোই যথেষ্ট নয়, তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাও জরুরি। বাবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ঋণ হয়তো আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারব না, কিন্তু তাঁর প্রতি ভালোবাসা আর সম্মান জানিয়ে আমরা তাঁর মুখে হাসি ফোটাতে পারি।
আজ এই বিশেষ দিনে, পৃথিবীর সব বাবার প্রতি রইলো আমাদের সশ্রদ্ধ সালাম। তাঁরাই তো আমাদের জীবনের আসল নায়ক!
You cannot copy content of this page