আজ ১৫ জুন, রোববার- বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বাবা দিবস (Father’s Day)। এটি এমন একটি দিন, যেদিন সন্তানের জীবনে বাবার অবদানকে গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। আমাদের সমাজে মা যেমন স্নেহ, মমতা আর ভালোবাসার প্রতীক, ঠিক তেমনি বাবা হচ্ছেন নিরব ছায়া, যিনি পরিবারের জন্য নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়তে দিনরাত পরিশ্রম করে যান। তিনি কখনো নিজের ক্লান্তি বুঝতে দেন না, কখনো অভিযোগ করেন না, শুধু দায়িত্বের ভার কাঁধে নিয়ে অদৃশ্য এক যোদ্ধার মতো পথ চলেন।
বিশ্বব্যাপী জুন মাসের তৃতীয় রোববার বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সোনোরা স্মার্ট ডড নামের এক মেয়ের উদ্যোগে এই দিনটি প্রথম উদযাপিত হয় তাঁর বাবার প্রতি সম্মান জানিয়ে, যিনি একাই তাঁর ছয় সন্তানকে বড় করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে এটি একটি আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে গৃহীত হয়।
বাংলাদেশেও এখন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাবা দিবস পালিত হয়। সন্তানরা বাবাকে উপহার দেয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভালোবাসার বার্তা শেয়ার করে, অনেকে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বাবার খোঁজখবর নেয়। কিন্তু এসব আয়োজনের বাইরেও বাবা দিবস যেন একটি উপলক্ষ। বাবার নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকে উপলব্ধি করার, তাঁকে “ভালোবাসি” বলার।
একজন বাবা যখন সন্তানের জন্য শেষ পয়সাটুকু খরচ করেন, বা নিজের প্রয়োজন মেটানোর আগে সন্তানের পড়াশোনা, খাবার, জামাকাপড়ের খেয়াল রাখেন- তখন তিনি একজন মহান ত্যাগীর ভূমিকা পালন করেন। অথচ অনেক সময় বাবার এই আত্মত্যাগগুলো আমাদের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়।
আজ বাবা দিবসে আমাদের প্রত্যেকের উচিত একটিবার হলেও বাবাকে জড়িয়ে ধরা, কৃতজ্ঞতা জানানো, এবং বলা “আমার জীবনের নায়ক তুমি বাবা!”
শেষ কথায়, শুধু একটি দিন নয়, বছরের প্রতিটি দিনই হোক বাবা দিবস। কারণ একজন বাবা প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত নিঃশব্দে আমাদের জন্য বাঁচেন, স্বপ্ন দেখেন, এবং লড়াই করেন।
You cannot copy content of this page