৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আজকে এনটিআরসিএ-র চেয়ারম্যানকে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণরা স্মারকলিপি প্রদান করেন এবং ১৮তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়া প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি প্রার্থী শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ (NTRCA)-র প্রতি দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ৪ জুন ২০২৫ চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হলেও এখনো ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে কোনো কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। এই কারণে দেশের হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট যেমন দীর্ঘায়িত হচ্ছে, তেমনি বছরের পর বছর ধরে প্রস্তুতি নেওয়া এই যোগ্য প্রার্থীরাও মানসিক ও সামাজিকভাবে চরমভাবে ভেঙে পড়ছেন।
প্রার্থীদের অভিযোগ, একটি শ্রেণি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এনটিআরসিএর স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সুবিধাভোগী মহলের মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করছে তারা। এসব অপতৎপরতায় ব্যবহার করা হচ্ছে রিট ব্যবসায়ী, সংবাদ সম্মেলন ও বানোয়াট অভিযোগপত্র।
উল্লেখ্য, ১৮তম নিবন্ধনে মোট আবেদন ছিল প্রায় ১৮ লাখ ৬৫ হাজার। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন, আর মৌখিক পরীক্ষায় সফল হন ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী। এনটিআরসিএর তিনটি ধাপেই স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও কঠোর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক।
চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষকতার স্বপ্ন লালন করা এই মেধাবী তরুণ-তরুণীদের জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে হলে অবিলম্বে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। নিয়োগপ্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে যেমন দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে নেমে আসবে অচলাবস্থা, তেমনি শিক্ষার মান বজায় রাখাও কঠিন হয়ে পড়বে।
এক বিবৃতিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বলেন, “আমরা কোনো অন্যায় দাবি করছি না। আমরা শুধু চাই, যে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় আমরা উত্তীর্ণ হয়েছি, সেই ধারাবাহিকতায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত শুরু হোক। আমরা দেশের সন্তান, জাতি গঠনের কারিগর হতে চাই – আমাদের আর বেশি অপেক্ষা করিয়ে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া উচিত নয়।”
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে এনটিআরসিএ -র দায়িত্বশীল ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এখন সময়ের দাবি। শিক্ষক সংকট পূরণে এবং মেধাবী প্রার্থীদের সম্মান রক্ষায় দ্রুত ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছে পুরো শিক্ষাপ্রেমী সমাজ।
You cannot copy content of this page