বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে। এ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা জারির এক মাসের মধ্যেই কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত নীতিমালা জারি করা হবে। নতুন এই নীতিমালার আওতায় বর্তমান কমিটিগুলো ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। অনেক ক্ষেত্রে কমিটির সদস্যরা শিক্ষাগত যোগ্যতার তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক প্রভাব বা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতেন এবং প্রতিষ্ঠানের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত হতেন। এতে করে প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি সরকারের দেওয়া অর্থের নয়ছয় হওয়ার আশঙ্কা থাকত।
নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে পরিচালনা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষদের মতো সরকারি কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর ফলে কমিটির কার্যক্রমে একটি নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। তারা মনে করছেন, এর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি কমবে এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে, কমিটিতে বেসরকারি সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব কীভাবে নিশ্চিত করা হবে এবং এর প্রায়োগিক দিকগুলো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। চূড়ান্ত নীতিমালা জারির পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
You cannot copy content of this page