ছামিউল ইসলাম রিপন (সরিষাবাড়ী ও ধনবাড়ী) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কিংবা কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা সদস্য হিসেবে দায়িত্বে থেকে সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদসহ যেকোনো পাবলিক নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান, তাহলে তাকে প্রথমে ওই পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
ইসির মতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বা সভাপতির পদ একটি ‘অংশবিশিষ্ট পদ’ হিসেবে বিবেচিত। ফলে এমন দায়িত্বে থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নির্বাচনী আচরণবিধি ও সমতার নীতিমালার পরিপন্থী। কারণ এতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার পদ ব্যবহার করে অন্য প্রার্থীদের তুলনায় বাড়তি প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, যা গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
নির্বাচনী কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ইসি থেকে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে প্রয়োজনে নির্বাচন আইনের সংশোধনী আনার কথাও ভাবা হচ্ছে।
এ বিষয়ে এক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পাবলিক নির্বাচনও একটি বৃহৎ দায়িত্ব। দুটো একসঙ্গে পালন করা হলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব ও প্রভাব বিস্তার অনিবার্য হয়ে পড়ে।”
এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে যারা জনপ্রতিনিধি হতে চান, তাদের জন্য একটি পরিষ্কার বার্তা দেওয়া হলো—জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক পদ ছেড়ে আসতে হবে।
নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ, স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ইসির এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয়। এতে একদিকে যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নিরপেক্ষ থাকবে, তেমনি নির্বাচনী লড়াইয়ে সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাবেন।
You cannot copy content of this page