হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণের অবসরের ছয় মাসের মধ্যে অবসর ও কল্যান ট্রাস্টের অর্থ পরিশোধ, অতিরিক্ত ৪% কর্তনের বিপরীতে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ,বদলী, ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
২১ জুন ২০২৫ খ্রি. শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম ( বাবেশিকফো) সভাপতি অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন এর সভাপতিত্বে মানব বন্ধন করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা । মানব বন্ধনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জানান এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী অবসর গ্রহণের কমপক্ষে তিন/চার বছর পর অবসর ও কল্যানের টাকা পেয়ে থাকেন । বিগত সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হওয়ায় বর্তমানে আরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। স্বল্প বেতনে চাকরী করা শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসর সময়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না, অনেকে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, মেয়ের বিয়ে দিতে পারছে না। অথচ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রতিমাসে বেতনের ১০% হারে টাকা কেটে রাখা হচ্ছে । অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠাকালীন অবসর সুবিধা বোর্ডে ৪% ও কল্যাণ ট্রাস্টে ২% মোট ৬% টাকা কেটে রাখা হতো। পরবর্তীতে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা না করেই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে ২% হারে অতিরিক্ত মোট ৪% করে কেটে রাখেেছ । সংক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষ হতে বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের নেতৃবৃন্দ হাই কোর্টে মামলা করে মামলা নং ১৩১১৮/১০১৯, মামলায় বিজ্ঞ বিচারকগণ অবসরের ছয় মাসের মধ্যে অবসর ও কল্যাণের টাকা পরিশোধ ও ৪% অতিরিক্ত কর্তনের বিপরীতে আনুপাতিক হারে সুবিধা বৃদ্ধির রায় দেন। কিন্তু সরকার এ রায় বাস্তবায়নে কালক্ষেপন করছে। অবিলম্বে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে অতিরিক্ত ৪% কর্তনের অনুপাতে সুবিধা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানানো হয়। সরকারী কর্মকর্তা -কর্মচারীদের ১ জুলাই হতে প্রনোদনা প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারি হলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ক্ষোভ জানানো হয়। গণ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক-নিয়োগের পর বদলির প্রক্রিয়া একটি প্রহসন, কারণ শিক্ষক নিয়োগের পর পদ শূণ্য না থাকার কারণে বদলী হওয়ার সুযোগ থাকবে না তাই শিক্ষক নিয়োগের পূর্বেই বদলি চালু করা, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা , শিক্ষক-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা ভাতা চালুর দাবি জানানো হয় । নির্বাহী মহাসচিব জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি উপাধ্যক্ষ আবদুর রহমান, এস এম আনিসুল হক, আতিকুল ইসলাম খান, আতিক তালুকদার, সাহিদুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, সাবরিনা সুলতানা, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল্লাহ্ , মো :তোফায়েল সরকার, ইসমাইল হোসেন, আব্দুল হাই সিদ্দিকী, নির্বাহী সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, উম্মে কুলসুম, মাহমুদা কেয়া, সালমা আক্তার, মোখলেসুর রহমান লিটন প্রমুখ।
You cannot copy content of this page