স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ:নওগাঁ ধামইরহাট থানা থেকে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পরার ঘটনায় ওসি আব্দুল মালেকসহ আরো ৩ কনেস্টেবল প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার জেলা পুলিশ সুপার তাদের প্রত্যাহার করেন। এর আগে এ ঘটনায় একজন এস আই ও একজন কনেস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে থানা হাজতে বিভিন্ন অপরাধের আসামি থাকার কারণে হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত মো. সাগর হোসেনকে নারী হাজতে এক হাতে হাতকড়া অবস্থায় রাখা হয়। সে ওই রাতে হাজতের ভিতরে বসে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র প্রশ্ন রাখা ট্রাংকের সিলগালা নখ দিয়ে খুলে ফেলেন। পরে সেখানে রাখা চাবি দিয়ে ট্রাংকের তালা খুলে প্রশ্নপত্রের একটি সেট বের করেন। তার মধ্যে থেকে কয়েকটি প্রশ্নপত্র ছিড়ে ফেলেন এবং বাকি প্রশ্নপত্রগুলো বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখেন। উক্ত ঘটনার ফলে আসামিকে আরো একটি মামলা দায়ের শেষে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়।
সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, ধামইরহাট থানার ওসিসহ তিনজন কনেস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পক্ষে থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়াও গতকাল শনিবার বিকালে রাজশাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ.ন.ম মোফাখখারুল ইসলাম প্রশ্নপত্র তছনছ ঘটনায় ধামইরহাট থানা পরিদর্শনে আসেন। এসময় তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁস হওয়া ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র (৩০৫ নম্বর কোড) টি বাতিল করা হয়েছে।অন্য একটি সেটের প্রশ্নপত্র প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হবে এবং ইতিহাস বিষয়ের এইচএসসি পরীক্ষা যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
You cannot copy content of this page