সরিষাবাড়ী ও ধনবাড়ী প্রতিনিধি: বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের নেতৃবৃন্দ একযোগে দাবি জানিয়েছেন—এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এবং শ্রান্তি বিনোদন ভাতা বাস্তবায়ন করতে হবে বর্তমান বাজেট থেকেই।
এই দাবিতে গতকাল (২৫ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কূটনৈতিক তৎপরতা চালান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম (সহ-সভাপতি), মো. তোফায়েল সরকার (যুগ্ম মহাসচিব), মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী (যুগ্ম মহাসচিব), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (সাংগঠনিক সম্পাদক) এবং এস এম ফরিদ উদ্দিন (নির্বাহী সাংগঠনিক সম্পাদক)।
তাঁরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, প্রকৌশলী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বাজেট বিভাগ ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষিতে দাবিগুলোর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
নেতৃবৃন্দ জানান, একজন শিক্ষক বর্তমানে মাত্র ১২,৫০০ টাকা বেতন, ১,০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে এই সামান্য বেতন ভাতা দিয়ে একজন শিক্ষক পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই তারা প্রত্যাশা করেন, বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টার ঘোষিত অঙ্গীকার বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা ও সিনিয়র সচিবদের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
শিক্ষক সমাজ মনে করে, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তাদের দাবি, এই আর্থিক সুবিধাগুলো নিশ্চিত হলে শিক্ষকরা আরও মনোযোগ দিয়ে পাঠদানে সম্পৃক্ত হতে পারবেন।
অত্যন্ত দায়িত্বশীলতা ও ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আশাবাদী যে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করেই শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
You cannot copy content of this page