ময়মনসিংহ জেলার ধুবাউরা, ফুলপুর,গৌরীপুর, হালুয়াঘাট ও ঈশ্বরগঞ্জ — এই পাঁচ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করা হয়েছে পুষ্টিকর টিফিন কার্যক্রম। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং ঝরে পড়ার হার হ্রাস করার লক্ষ্য নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন।
এইসব উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বলেন, “অনেক শিশু স্কুলে না খেয়ে আসে। এই টিফিন কার্যক্রমের ফলে তারা স্কুলে আরও আগ্রহ নিয়ে আসবে, তাদের শরীর-মন দুটোই ভালো থাকবে।” আরও বলেন, চরাঞ্চলে অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি ছিল, কারণ এখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পরিবার অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল।
শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পাঁচ উপজেলায় প্রতিটি শিশুর জন্য প্রতিদিন নির্ধারিত বাজেটের আওতায় পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হবে। প্রতিদিন টিফিনে থাকবে সিদ্ধ ডিম, মৌসুমি ফল, খিচুড়ি, বা বিস্কুটসহ প্যাকেটজাত পুষ্টিকর খাদ্য। এর ফলে শিক্ষার্থীরা অপুষ্টিজনিত সমস্যা থেকে মুক্ত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই উদ্যোগের ফলে আগে যেসব শিক্ষার্থী দুপুরের আগে স্কুল ছেড়ে চলে যেত, এখন তারা ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা জানিয়েছেন, টিফিন কার্যক্রমটি পর্যবেক্ষণ ও নিয়মিত মূল্যায়নের আওতায় রাখা হবে। ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
এটি শুধু একটি পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার বিষয় নয়, এটি শিশুদের অধিকার রক্ষার এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরি করার একটি কার্যকর পদক্ষেপ। এই টিফিন, শিশুদের মুখে হাসি ফোটাবে—আর শিক্ষা হবে আরও প্রাণবন্ত।
You cannot copy content of this page