সরিষাবাড়ী ও ধনবাড়ী প্রতিনিধি: ২০২৬ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে পূর্ণ সিলেবাসে, পূর্ণ সময় এবং পূর্ণ নম্বরে। করোনাকালীন সংক্ষিপ্ত সিলেবাস কার্যক্রম শেষে আগামী বছর থেকে স্বাভাবিক নিয়মে পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য আর কোনো সংক্ষিপ্ত বা রিভাইজড সিলেবাস থাকছে না। প্রশ্নপত্রে থাকবে পূর্ণ সিলেবাসের আওতায় প্রাপ্ত পাঠ্যবইয়ের সব অধ্যায় থেকে প্রশ্ন।
মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
• সিলেবাস: এনসিটিবির পূর্ণ সিলেবাস
• সময়: প্রতিটি বিষয়ের জন্য পূর্ণ মেয়াদ (৩ ঘণ্টা)
• নম্বর: প্রতিটি বিষয়ে সম্পূর্ণ ১০০ নম্বরের পরীক্ষা
• ব্যবহারিক বিষয়: ব্যবহারিকসহ মোট নম্বর অপরিবর্তিত থাকবে
• মূল্যায়ন পদ্ধতি: পূর্বের মতোই লিখিত, এমসিকিউ ও ব্যবহারিক মিলিয়ে সম্পূর্ণ মূল্যায়ন।
শিক্ষাবোর্ডের বক্তব্য:
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার বলেন,
“২০২৫ সালের পরীক্ষার্থীদের জন্য আমরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দিয়েছিলাম। তবে ২০২৬ সালের শিক্ষার্থীরা করোনাকালীন কোনো শিক্ষাবাধার মুখোমুখি হয়নি। তাই তারা স্বাভাবিক নিয়মেই পরীক্ষায় অংশ নেবে। এতে শিক্ষার মান ঠিক থাকবে এবং উচ্চশিক্ষার ভিত্তি আরও শক্ত হবে।”
শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি:
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই পূর্ণ সিলেবাসে পাঠদান শুরু করেছে। শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুযায়ী পাঠ পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০২০ সালে করোনা মহামারির পরপরই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চালু হয়। ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এই পদ্ধতি চালু ছিল। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ধাপে ধাপে পুরনো ধারায় ফেরার উদ্যোগ নেয়। ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাসময়ে পাঠদান, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতির মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা যেন পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে ভালো ফল করতে পারে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
You cannot copy content of this page