সরিষাবাড়ী ও ধনবাড়ী প্রতিনিধি: দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত (MPO) শিক্ষক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে বাস্তবায়নের পথে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা অনুসারে, এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের জন্য বদলি কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে। বদলি হবে সম্পূর্ণ সফটওয়্যার-ভিত্তিক ডিজিটাল প্রক্রিয়ায়। আগামী অক্টোবর থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
বদলির নীতিমালার মূল দিকসমূহ:
২০২৪ সালের ১১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় “বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলি নীতিমালা-২০২৪” জারি করে। এতে বলা হয়:
• বদলির জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে প্রতি বছরের ১–৩০ অক্টোবর।
• আদেশ জারি হবে নভেম্বরের মধ্যে।
• বদলিকৃত শিক্ষককে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে।
• নারী শিক্ষকরা সর্বোচ্চ ৩ বার এবং পুরুষ শিক্ষকরা সর্বোচ্চ ২ বার বদলির সুযোগ পাবেন।
• প্রথম যোগদানের পর অন্তত ২ বছর পূর্ণ হলে আবেদন করার সুযোগ মিলবে।
স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে বদলি:
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং এনটিআরসিএ সম্মিলিতভাবে একটি আধুনিক সফটওয়্যার সিস্টেম তৈরি করছে। এতে শিক্ষকগণ অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেধা, জ্যেষ্ঠতা ও অবস্থান বিবেচনায় বদলির আদেশ জারি হবে।
সূত্র জানায়, জুন মাসের মধ্যেই সফটওয়্যারের পরীক্ষা শেষ হবে। পরিপূর্ণ কার্যক্রম শুরু হবে অক্টোবর থেকে।
কে বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন?
• এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত ও ইনডেক্সধারী শিক্ষক।
• প্রথম কর্মস্থলে যোগদানের পর দুই বছর পূর্ণ।
• মাদ্রাসা শিক্ষকসহ অন্যান্য এমপিওভুক্তরাও এ প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত।
অগ্রাধিকার পাবেন:
• নারী শিক্ষক
• দীর্ঘমেয়াদি কর্মরত শিক্ষক
• যেসব শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে কর্মরত, তারা নিজ জেলায় বদলির জন্য অগ্রাধিকার পাবেন।
এ বিষয়ে এক শিক্ষক বলেন, “বদলি যেন হয় স্বচ্ছ ও সময়মতো, এটি আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। নতুন নিয়ম ও সফটওয়্যার সেই স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী।”
কার্যক্রম সময়সীমা:
• বদলি আবেদন শুরু ১–৩০ অক্টোবর ২০২৫
• আদেশ জারি ৩০ নভেম্বর ২০২৫
• নতুন কর্মস্থলে যোগদান ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
সারাদেশের শিক্ষক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নের পথে। এখন দরকার স্বচ্ছতা ও যথাসময়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন। সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা যেন প্রয়োজনীয় তথ্যাদি আগে থেকেই প্রস্তুত রাখেন—এটাই এখন সময়ের দাবি।
তথ্যসূত্র: শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, সময় নিউজ।
You cannot copy content of this page