• সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে নিহত ৩। হাটহাজারীতে স্লুইসগেটের পুনঃনির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। থানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ধামইরহাটে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন মানিকগঞ্জে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ৫ নওগাঁয় অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার ৮ ধাপে আবেদন ফরম পূরণ ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির “সর্বজনীন পেনশন নয়, সরকারি পেনশনই চাই” — আন্দোলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ভালুকায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি বাকবিশিস’ ৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

এমপিওভুক শিক্ষক হওয়া যেন অপরাধ!

প্রতিনিধির নাম / ৪৪৫ বার দেখা
আপডেট : শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

রপ্তানি আয়ের শীর্ষে যেমন গার্মেন্টস শিল্প, বৈদেশিক রেমিটেন্স অর্জনে যেমন জনশক্তি অবদান। তেমনি শিক্ষাখাতে সরকারের বাহবা অর্জনে সাতানব্বই বেসরকারী শিক্ষকদের অবদান। কিন্তু
এমপিওভুক্ত  শিক্ষক হওয়া যেন অপরাধ ! সে পায়না নির্দিষ্ট সময়ে তাঁর মাসিক বেতন। সে প্রয়োজনে যখন কোন অফিস -আদালতে যায় তখন তাকে অবজ্ঞা করা হয় এবং তাঁর কাজ সারাতে  স্পিড মানি দিতে হয় তাঁরই জাত ভাইয়ের হাতে যিনি সেখানে কর্তা হয়ে বসে আছেন। তাছাড়া অফিস সহকারি  নির্ভর অফিসগুলোর কথা আর কি বলবো- তা-তো আপনারা জানেনই। একজন এমপিওভুক্ত  শিক্ষক ৬০ বছর বয়সে অবসরে যান। জীবনের এ সময়ে তাঁর কাছে  থাকেনা জমানো তেমন টাকা -পয়সা, ফলে জীবন পরিক্রমায় নেমে আসে অর্থাভাব, অসুখ – বিসুখ, হয় না তাঁর ভালো চিকিৎসা। চিকিৎসার প্রয়োজনে টাকা ধার চাইলে কেউ দিতে চায়না ঐ টাকাটাই ফেরত পাওয়ার ভয়ে। আর অবসর-কল্যাণের টাকা পাওয়াতো এখনো সোনার হরিণই রয়ে গেল। এখন টাকা পেতে ২/৩ /৪ বছর লেগে যায়।

সুবিধা ছাড়া অতিরিক্ত ৪% কর্তনের মোট ১০% করার পরও কেন আমার শিক্ষক অবসরের ২/৩/৪ বছরের মধ্যে তাঁর অবসর -কল্যাণের টাকা পাবে না? সংশ্লিষ্ট মিস্টার নেতৃবৃন্দগণ যারা সদস্য সচিব, সদস্য হওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি করেন এবং অতীতে ছিলেন তারা জবাব দিবেন? না তল্পিতল্পা নিয়ে  পদত্যাগ করবেন কখনো বা করেছিলেন?অনেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী  অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য অবসর- কল্যাণ থেকে টাকা চেয়ে টাকা পায় না কেন? তাঁর এ মৃত্যুর দায় অবসর কল্যাণের নেতারা কি এড়াতে  পারেন? ঐ মৃত্যুবরণকারী শিক্ষকের জমানো টাকা আপনি সামান্য হলেও ব্যয় করেছেন,কিন্তু তাঁর জন্য কিছুই করলেন না। মরার পর হিসাব কিন্তু দিতেই হবে। তাই কোন স্যারের জমানো অবসরের টাকার জন্য বিনা চিকিৎসা মরতে না হয়, সেই জন্য অবসর, কল্যাণ ট্রাস্ট বাতিল সহ স্থায়ী পেনশন সময়ের দাবি।এ অবস্থা চলতে থাকলে  নতুন করে কেউ আর এমপিওভুক্ত শিক্ষক হতে চাইবে না। এখন বেশিক নেতা হিসেবে আপনিও চান না আপনার সন্তান শিক্ষক হোক; ব্যবসায়ী চায় না তার সন্তান শিক্ষক হোক; ডাক্তার চায় না তার সন্তান শিক্ষক হোক; কোন শিক্ষকও আর চান না যে তাঁর সন্তান শিক্ষক হোক। ব্যাপার কী,বেসরকারি  শিক্ষকতা কি তবে টিকবে না এবং মেধাবীরা তাহলে বে-শিক্ষকতায় আসবে না?
দেশের  প্রায়  ৯৭% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি।
এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ এমপিওভুক্ত ও কিছু নন এমপিওভুক্ত।
জাতীয়  টেকসই উন্নয়ন করতে  হলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা  জাতীয়করণ অতীব প্রয়োজন। জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত, বদলি/পূর্নাঙ্গ বাড়ি ভাড়া/পূর্ণাঙ্গ উৎসব/চিকিৎসা ভাতা ইত্যাদি কার্যকর করতে হবে।

তাই এখনই শিক্ষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে চাকরি জাতীয়করণের আন্দোলন করতে হবে তবেই শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থ-সামাজিক মর্যাদায় বৃদ্ধি পাবে,শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে

তাই আসুন আমরা আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে জাতীয়করণের জন্য কাজ করে তথা জাতীয়করণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি।

মো : তোফায়েল সরকার
যুগ্ম-মহাসচিব
বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

You cannot copy content of this page