• সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে নিহত ৩। হাটহাজারীতে স্লুইসগেটের পুনঃনির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। থানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ধামইরহাটে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন মানিকগঞ্জে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ৫ নওগাঁয় অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার ৮ ধাপে আবেদন ফরম পূরণ ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির “সর্বজনীন পেনশন নয়, সরকারি পেনশনই চাই” — আন্দোলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ভালুকায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি বাকবিশিস’ ৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

একটি অবহেলিত অধ্যায়: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিঃশব্দ কান্না

মো: তানজিম হোসাইন / ৩৮৩ বার দেখা
আপডেট : সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

এম.পি.ওভুক্ত শিক্ষকগণ যেন সমাজের সেই বিস্মৃত অধ্যায়, যারা বছরের পর বছর শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন, অথচ তাদের কণ্ঠের আর্তনাদ কেউ শোনে না। পাখির মতো উড়ে যায় তাদের দাবি, উড়ে যায় তাদের কষ্টের কথা, কিন্তু কোনো সরকারের মন গলে না। যেন আমরা, এই পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক, শুধুই সংখ্যায় পরিণত হয়েছি, কোনো মানুষ না।

প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন করা, কিন্তু এ দেশে শিক্ষকগণ যেন সর্বদা তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক। আমরা নীরবতাকে সঙ্গী করে দিন কাটাই, আন্দোলন করি, অনশন করি, কিন্তু ফলাফল শূন্য। যেন এই দীর্ঘ দিনের আন্দোলন কেবল বাতাসে মিলিয়ে যায়। সরকারগুলো আমাদের দিকে তাকায় না, যেন আমরা কোনো মূল্যবোধ বা অধিকার দাবী করার যোগ্য নই।

শিক্ষকতা পেশা সহজ নয়। প্রতিটি ক্লাসে, প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু যখন নিজের অধিকার রক্ষার কথা আসে, আমরা কোথাও দাঁড়াতে পারি না। আমরা সমাজ গড়ার কারিগর, কিন্তু আমাদের স্বীকৃতি নেই, আমাদের ন্যায্য বেতন নেই। আমাদের দাবি যেন কোনো অজানা ভাষায় লেখা কোনো বই, যা কেউ পড়তে চায় না।

এবারও, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের অবস্থা বুঝতে পারে না। আমাদের আবেগ, আমাদের সংগ্রাম কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না তাদের উপর। দিন দুয়েক আগে শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের অবস্থা অনুভব করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমাদের মানোন্নয়নে নিলেন না কোন পদক্ষেপ। শুধু দুঃখ প্রকাশ করাই কি যথেষ্ট? শিক্ষার আলো যারা ছড়ায়, তারাই যেন অন্ধকারে নিমজ্জিত।

আমরা কি কেউ নই? আমাদের স্বীকৃতি কেন নেই? আমাদের কি সেই মানুষদের মতো হতে হবে, যারা সবকিছু ধ্বংস করে নিজেদের দাবি আদায় করে নেয়? শিক্ষা তো ধ্বংসের পথে হাঁটতে শেখায় না, তা শিখায় নির্মাণের পথে। কিন্তু আমরা আর কতদিন এই নির্মাণের পথে পা বাড়িয়ে নিজেরা ধ্বংসের পথে হাঁটতে বাধ্য হবো?

শিক্ষকরা যখন ভাঙেন, সমাজ তখন ভাঙে। এ বাস্তবতা বুঝতে পারা এখন সময়ের দাবি। আমরা চাই, আমাদের কান্না এবার শোনা হোক। আমরা চাই, আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক।

মো: তানজিম হোসাইন
শিক্ষক ও সাংবাদিক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

You cannot copy content of this page