সরিষাবাড়ী ও ধনবাড়ী প্রতিনিধি: বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স স্তরের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষকের জন্য বহু প্রতীক্ষিত সুখবর এসেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় এসব শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
তবে সিদ্ধান্তটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. মিজানুর রহমান এ বিষয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সভায় বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সভার রেজ্যুলেশন বের হওয়ার আগে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না। আপনারা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করুন।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. জামির হোসেন বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন সফলতার মুখ দেখতে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আমাদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা দ্রুত এ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চাই।’
দেশের ৩১৫টি বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের প্রায় ৫,৫০০ শিক্ষক দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে এমপিওভুক্তির জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। ১৯৯৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসব কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালুর অনুমোদন দেওয়া হলেও জনবল কাঠামোতে এ স্তরের শিক্ষকদের পদ অন্তর্ভুক্ত না থাকায় তারা সরকারি এমপিও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।
২০১৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। একাধিক বৈঠক হলেও অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার আলোচনার সূত্র ধরে নীতিগত সিদ্ধান্তের পর্যায়ে পৌঁছেছে সরকার।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে শুধু শিক্ষক নয়, উপকৃত হবে পুরো উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাও। অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের আর্থিক নিশ্চয়তা ও পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। ফলে কলেজ পর্যায়ে মানসম্পন্ন পাঠদানের সুযোগ তৈরি হবে।
শিক্ষক সমাজের প্রত্যাশা, সরকারের এ সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের অবহেলার অবসান ঘটবে এবং দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় একটি নতুন যুগের সূচনা হবে।
You cannot copy content of this page