কুতুব উদ্দিন আহমেদ, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয়েছে, যা অনলাইনে দানসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ দেবে।
ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ এখন আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধার আওতায়। কিশোরগঞ্জের এই প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়েছে, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। শুক্রবার(৪ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পাগলা মসজিদ চত্বরে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
ওয়েবসাইটটির ঠিকানা হলো: www.paglamosque.org
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদ মিয়া, পাগলা মসজিদের খতিব মাওলানা আশরাফ আলী, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার অধ্যক্ষ মাওলানা শিব্বির আহমাদ রশিদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক রমজান আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মো. আলমগীর হোসাইন তালুকদার।এছাড়াও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, “পাগলা মসজিদ শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের একটি গৌরবময় নিদর্শন। নতুন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে পাগলা মসজিদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে, অনলাইনে দান করা যাবে এবং ডিজিটাল আর্কাইভেও প্রবেশাধিকার পাওয়া যাবে।”
নতুন ওয়েবসাইটটিতে মসজিদের ইতিহাস, গঠনকাল, দান প্রথা, মাসিক আয়-ব্যয়ের বিবরণ, ধর্মীয় কার্যক্রম এবং দর্শনার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে অনলাইন দান ফিচার, যার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের যেকোনো স্থান থেকে সহজেই আর্থিক অনুদান পাঠানো সম্ভব।
অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়, যেখানে দেশ, জাতি এবং পাগলা মসজিদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
পাগলা মসজিদের ডিজিটাল রূপায়ণের এই উদ্যোগকে কিশোরগঞ্জবাসী স্বাগত জানিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন বলেন, “এখন আমাদের আত্মীয়-স্বজন বিদেশে বসেও এই মসজিদে দান করতে পারবেন। এটি সত্যিই সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ।”
ওয়েবসাইট উদ্বোধনের মাধ্যমে পাগলা মসজিদ একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে, যেখানে ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক স্থাপনার সাথে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোগ ঘটেছে। এটি শুধু ধর্মীয় চেতনার উন্নয়নেই নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
You cannot copy content of this page