মো. মামুন হোসাইন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সাপের কামড় থেকে কৃষকদের বাঁচাতে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গামবুট বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় হিউম্যানিটি বেয়ন্ড ব্যারিয়ারস এবং মডেল লাইভস্টক এডভান্সডমেন্ট ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা ও ডিপ ইকোলোজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের ২০ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে এই গামবুট বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে রামনগর গ্রামে বিল্লাল হোসেন মাস্টারের বাড়িতে ‘স্নেক বাইট ভালনারেবল কমিউনিটিজ অফ সিঙ্গাইর’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডিপ ইকোলোজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনেয় পরিচালক সৈয়দা অনন্যা ফারিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সিংগাইর উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মোবারক হোসেন ও ডিপ ইকোলোজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোসাদ্দেকুর রহমান প্রমুখ।
সিংগাইর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসেন বলেন, সচেতনতার অভাবে প্রায় সময় সাপের কামড়ে মানুষ মারা যায়। সাপে কামড়ালে প্রথমে চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে ওঝার কাছে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এ কারণে সাপে কামড়ানো অধিকাংশ রোগী মারা যায়। তাই সাপে কামড়ানো রোগীকে প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে অথবা সরকারি কোনো হাসপাতালে নিতে হবে।
ডিপ ইকোলোজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া বলেন, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো সাপের কামড়ে মৃত্যুহার কমিয়ে আনা। কৃষকদের মাঝে সাপের কামড় নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এন্টিভেনমের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা।
সংগঠনটির জাবি শাখার সভাপতি মোসাদ্দেকুর রহমান বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের অনেক কৃষক সচেতনতার অভাবে সাপের কামড়ের শিকার হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন।
শুধুমাত্র কিছু সুরক্ষা সরঞ্জাম গামবুট ব্যবহারের ফলে কৃষকরা সাপের কামড় থেকে বাঁচতে পারে। এবং মৃত্যুহারও কমবে। সিংগাইর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে মোট (৩০০) তিনশত গামবুট বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এসময়, স্নেক বাইট ভালনারেবল কমিউনিটিজ অফ সিঙ্গাইর’ প্রকল্পের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফয়সাল কবির ও সিঙ্গাইর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লাসহ ডিপ ইকোলোজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
You cannot copy content of this page