দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি এবং বিদ্যমান থাকলে তা হালনাগাদ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এই নির্দেশনার ফলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ডিজিটাল রূপান্তরের গতি আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য, যেমন – প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা, শিক্ষার্থীদের তথ্য, ফলাফল, নোটিশ বোর্ড, এবং বিভিন্ন কার্যক্রমের বিবরণ ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। এর ফলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সবার কাছে প্রতিষ্ঠানের তথ্য সহজেই পৌঁছানো সম্ভব হবে।
**কেন এই নির্দেশনা?**
বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। একটি কার্যকর ওয়েবসাইট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এর মাধ্যমে অভিভাবকরা ঘরে বসেই তাদের সন্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও, বিভিন্ন সরকারি নির্দেশনা, ছুটির নোটিশ, পরীক্ষার সময়সূচি ইত্যাদি দ্রুত এবং সহজে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
**কীভাবে ওয়েবসাইট তৈরি ও হালনাগাদ করা হবে?**
মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব ডোমেইন ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। বিদ্যমান ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য সংযোজন ও নিয়মিত হালনাগাদ করার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষক অথবা বহিরাগত পেশাদারদের সাহায্য নিতে পারবে।
**সুবিধা:**
* **সহজ তথ্য প্রাপ্তি:** শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ সহজে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
* **স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি:** শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা আসবে।
* **দ্রুত যোগাযোগ:** যেকোনো জরুরি নোটিশ বা তথ্য দ্রুত প্রকাশ করা যাবে।
* **ডিজিটাল রেকর্ড:** প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
মাউশি আশা করছে, এই নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী হবে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠান এই নির্দেশনা পালনে সক্ষম হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছে।
You cannot copy content of this page