• বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
হাটহাজারীতে স্লুইসগেটের পুনঃনির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। থানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ধামইরহাটে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন মানিকগঞ্জে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ৫ নওগাঁয় অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার ৮ ধাপে আবেদন ফরম পূরণ ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির “সর্বজনীন পেনশন নয়, সরকারি পেনশনই চাই” — আন্দোলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ভালুকায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি বাকবিশিস’ ৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ আজ পহেলা মে, মহান মে দিবস

“আশুলিয়া গাফিলতিতে ১৮৬ পরীক্ষার্থী বাতিল, কেন্দ্রপ্রধান বরখাস্ত”

ছামিউল ইসলাম রিপন / ৪৭ বার দেখা
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

সরিষাবাড়ী ও ধনবাড়ী প্রতিনিধি:দায়িত্বে অবহেলা ও প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে সাভারের আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৮৬ জন শিক্ষার্থী ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এ ঘটনায় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানকে দায়িত্বচ্যুত করে নতুন কেন্দ্রপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজ উল্লাহকে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষককে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস. এম. কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, “সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সে কারণেই তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”

এদিকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রপ্রধান মোহাম্মদ হাফিজ উল্লাহ বলেন, “আমি দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি। অতীতের যে অনিয়ম হয়েছে তা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকব।”

এর আগে সোমবার বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোল বিষয়ে পাঠদানের অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করায়। ফলে ওই তিন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়নি।

বোর্ড সূত্রে আরও জানা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটি জানতো যে ওই তিন বিষয়ে তাদের পাঠদানের অনুমোদন নেই। তবু বিষয়টি গোপন রেখে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করা হয় এবং শেষ মুহূর্তে, ৯ জুলাই, মৌখিকভাবে বোর্ডকে জানিয়ে প্রবেশপত্র সংশোধনের চেষ্টা করা হয়। ততক্ষণে নির্ধারিত প্রশ্নপত্রগুলো কেন্দ্রে পাঠানো হয়ে যাওয়ায় কিছু করণীয় ছিল না।

ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন আরও ছয়টি কলেজেও এ ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে। তবে সেখানে সর্বোচ্চ ২২ জন পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিপরীতে আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংখ্যাটি ১৮৬। বোর্ডের ভাষায়, এ ঘটনার পূর্ণ দায়ভার কলেজ কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।

বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলেন, “এ ধরনের অবহেলা যদি প্রশ্রয় পায়, তবে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ অনিয়মের দ্বার খুলে যাবে। শিক্ষা ব্যবস্থার শৃঙ্খলা রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

You cannot copy content of this page