• রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে নিহত ৩। হাটহাজারীতে স্লুইসগেটের পুনঃনির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। থানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ধামইরহাটে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন মানিকগঞ্জে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ৫ নওগাঁয় অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার ৮ ধাপে আবেদন ফরম পূরণ ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির “সর্বজনীন পেনশন নয়, সরকারি পেনশনই চাই” — আন্দোলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ভালুকায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি বাকবিশিস’ ৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

মানিকছড়িতে অপহরণের পর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার ৭।

প্রতিনিধির নাম / ৪৯ বার দেখা
আপডেট : রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

এস এ হুমায়ুন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসাছাত্র মো. সোহেলকে অপহরণের পর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মংসানু মারমাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে উপজেলার গহীন অরণ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হয় জনপদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী মংসানু মারমা। এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ জনকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাতে উপজেলার ছদুরখীল এলাকায় নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে মো. সোহেল নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ হয়। এরপর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা অপহৃত সোহেলকে মুক্তির শর্তে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন! এ ঘটনায় প্রতিবেশী কয়েকজনকে সন্দেহ করে গত ১১ জুলাই থানায় মামলা করে সোহেলের পরিবার। মামলার পর পাড়ার সম্বু কুমার ত্রিপুরা (৩৬), গোরখানা এলাকার মো. মাঈন উদ্দিন (২১) ও মো. ইয়াছিন মিয়া (২৮)কে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা অপহরণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেও অপহৃতের সন্ধান দিতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুলাই উপজেলার বুদংপাড়া নামার পাড়ার গহীন অরণ্যের একটি ঝিরি থেকে অপহৃত সোহেল এর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। এরপর আরও দুইজনকে আটক করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূল পরিকল্পনাকারী। শনিবার সকালে উপজেলার গহীন অরণ্যে থেকে মংসানু মারমা এবং আরেক অভিযানে বাবু মারমাকে আটক করতে সক্ষম হয় সেনাবাহিনী। পরে তাদের থানায় সোর্পদ করা হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদ্রাসা ছাত্র সোহেল অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয় মংসানু মারমা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানিকছড়ি থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, মাদ্রাসাছাত্র সোহেল অপহরণ পরবর্তী হত্যার ঘটনায় জড়িত এজাহারভুক্ত মূল পরিকল্পনাকারী জনপদের আতংক সশস্ত্র সন্ত্রাসী মংসানু মারমাসহ ৭ জনকে যৌথবাহিনীর অভিযানে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। তাকে রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

You cannot copy content of this page