• বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে নিহত ৩। হাটহাজারীতে স্লুইসগেটের পুনঃনির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। থানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ধামইরহাটে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন মানিকগঞ্জে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ৫ নওগাঁয় অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার ৮ ধাপে আবেদন ফরম পূরণ ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির “সর্বজনীন পেনশন নয়, সরকারি পেনশনই চাই” — আন্দোলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ভালুকায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি বাকবিশিস’ ৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

নওগাঁয় জাল সনদে ১৮বছর শিক্ষকতার অভিযোগ আ’লীগ নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে, তদন্ত শুরু 

মো : অহিদুল ইসলাম / ১৫ বার দেখা
আপডেট : বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার: নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা বিজলী বিএল উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষক ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে ১৮ বছর চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। এই সনদ দিয়ে নিয়োগ নিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় সবুজ হোসেন নামের একজন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন। 

জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক বদলগাছী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু খালেদ বুলু’র স্ত্রী। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার বদলগাছী উপজেলার কোলা বিজলী বিএল উচ্চ বিদ্যালয় এর সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ফাতেমা বেগম ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে পাস করা একটি জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিয়োগ নিয়েছেন। ওই শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদের রোল নাম্বার দিয়ে এনটিআরসিএ এর ওয়েবসাইটে সনদধারীর কোনো তথ্য আসে না। শুধুমাত্র ওই সনদের তথ্যই আসে। 

অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি ওই বিদ্যালয়ে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে নিয়োগ নিয়ে এমপিওভুক্ত হয়ে তখন থেকে এ পর্যন্ত তিনি চাকরি করে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন। এরমধ্যে তিনি গত ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে উচ্চতর স্কেলে বেতন নেন। তার স্বামী ফাসিস্ট দল আওয়ামীলীগের উপজেলা সভাপতি হওয়ায় তিনি একটি জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে সবার অগোচরে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় চাকরি করে যাচ্ছেন। সেই সনদ যাচাই করা হলে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি জাল বলে প্রমাণিত হবে। তার নিয়োগ কালীন শিক্ষক নিবন্ধন সনদ এর রোল নম্বর ২১০১০১১৭ এবং নিবন্ধন নম্বর ৬১০৪২২৮। সেই সনদের আবশ্যিক বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর ৪৩ এবং ঐচ্ছিক বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪০। এবং তার ইনডেক্স নং R১০৩৬৫৮৯।

চাইলে তার সনদ সঠিক দাবি করে অভিযুক্ত শিক্ষক ফাতেমা বেগম পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, আপনাকে কেনো আমি তথ্য দেবো? আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে আমি তাদের কাছে দেবো। 

এ বিষয়ে তথ্য চাইলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পার্থ কুমার মন্ডল বলেন, আমার জানামতে তার সনদের কোন সমস্যা নেই। এরপর তার সনদসহ অন্যান্য কাগজপত্র বা তথ্যদি চাইলে তিনি তা দেননি। 

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমি এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সে অনুসারে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তার সকল সনদের কপি জমা দিতে বলা হয়েছে। তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যদি জাল হয় তাহলে যাচাই সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

You cannot copy content of this page