বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন জুলাই মাস থেকে বাড়ানো হয়েছে। সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে চলতি মাসে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র জানায়, বেতন বৃদ্ধির সারসংক্ষেপ ইতোমধ্যে প্রশাসন শাখায় পাঠানো হয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম লটে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক হাজার ২৯ কোটি টাকা। গত জুন মাসে একই খাতে ব্যয় হয়েছিল ৮৮৪ কোটি টাকা।
কাদের কত টাকা বেতন বেড়েছে?
সূত্র জানায়, সবচেয়ে নিচের গ্রেডে থাকা কর্মচারী—যেমন আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বেতন ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। জুনিয়র শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, সহকারী শিক্ষকদের ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
দীর্ঘদিন চাকরিরত সহকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বেতন বৃদ্ধি হয়েছে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। কোথাও কোথাও এই অঙ্ক ৫ হাজার পর্যন্তও পৌঁছেছে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
দ্রব্যমূল্যের বাজারে কতটা কার্যকর?
বেতন বৃদ্ধিকে স্বাগত জানালেও অনেক শিক্ষক ও কর্মচারী বলছেন, বাজারে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, তার তুলনায় এই বেতন বাড়তি বোঝা কাঁধে চাপানোর মতো। বিশেষ করে নিচু স্তরের কর্মচারীদের জন্য এই বৃদ্ধি খুব একটা সহায়ক হবে না।
মাউশির বক্তব্য
মাউশির এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের প্রোগ্রামার–৫ মো. জহির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জুলাই মাসে ইনক্রিমেন্ট, প্রণোদনা ও অনলাইনে অনুমোদিত বকেয়া প্রদানের কারণে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয়েছে। সব মিলিয়ে এক হাজার ২৯ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা গত মাসের চেয়ে ১৪৫ কোটি টাকা বেশি।’
আলোচনায় নতুন পে–স্কেল
সরকারি পে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোয় পরিবর্তনের আলোচনা থাকলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য এটি প্রথম ধাপে সামান্য স্বস্তির বার্তা। তবে শিক্ষক সমাজ মনে করছে, এটি স্থায়ী সমাধান নয়, বরং একমাত্র সমাধান হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের মতো পূর্ণাঙ্গ কাঠামোতে অন্তর্ভুক্তি।
You cannot copy content of this page