বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা দাঁড়িয়ে আছে এক ভয়াবহ বৈষম্যের দেয়ালে।
দেশজুড়ে হাজারখানেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে আছে প্রায় ২৬ হাজার এমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যেখানে ৯০ ভাগেরও বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করে। কিন্তু সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা আজও রয়ে গেছেন অধিকার বঞ্চিত, বৈষম্যের বেড়াজালে বন্দি।
একই সিলেবাস, একই পাঠদান, একই পরীক্ষা—তবু সুযোগ-সুবিধায় আকাশ-পাতাল ফারাক!
সরকারি স্কুলের একজন শিক্ষক যে মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সুবিধা পান—একই যোগ্যতা, একই দায়িত্ব পালন করেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা তা পান না।
প্রশ্ন জাগে— 👉 যদি সুবিধা ভিন্ন হয়, তবে সিলেবাস-কারিকুলাম কেন একই?
👉 এক দেশের, এক মাটির শিক্ষকদের ভাগ্য এত বৈষম্যমূলক কেন?
👉 একটি রাষ্ট্র যদি তার অধিকাংশ শিক্ষকদের মর্যাদা দিতে না পারে, সে রাষ্ট্রের শিক্ষানীতির ভিত্তিই বা কতটা ন্যায্য?
এই বৈষম্য শুধু শিক্ষক নয়, পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সমাধান একটাই—একই দায়িত্বে, চাই একই মর্যাদা। চাই শিক্ষা জাতীয়করণ।
বই-পুস্তক অভিন্ন হলে,
👉 সুবিধাও হোক সমান।
👉 নইলে নিয়ে আসুন ভিন্ন সিলেবাস, ভিন্ন পাঠদান, ভিন্ন মূল্যায়ন।
বিকল্প নেই—বিচার চাই, সমতা চাই, জাতীয়করণ চাই।
কারণ, শিক্ষক বাঁচলে—শিক্ষা বাঁচবে।
শিক্ষা বাঁচলে—দেশ জাগবে।
মো: তানজিম হোসাইন
কলামিস্ট, শিক্ষক ও সাংবাদিক
You cannot copy content of this page