• সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে নিহত ৩। হাটহাজারীতে স্লুইসগেটের পুনঃনির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। থানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ধামইরহাটে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন মানিকগঞ্জে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ৫ নওগাঁয় অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার ৮ ধাপে আবেদন ফরম পূরণ ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির “সর্বজনীন পেনশন নয়, সরকারি পেনশনই চাই” — আন্দোলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ভালুকায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি বাকবিশিস’ ৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

অভিভাবক হিসেবে আপনি কি সচেতন?

প্রতিনিধির নাম / ১৮৫ বার দেখা
আপডেট : সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

অভিভাবক শিক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে অভিভাবকের সচেতনতার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থী যতটা সময় না শিক্ষকের কাছে থাকে, তার চেয়ে বেশি সময় থাকে অভিভাবক বা পরিবারের সঙ্গে।
হ্যাঁ, দিন যত গড়াচ্ছে, অভিভাবকরা ততই সচেতন হচ্ছেন। তবে গ্রাম কিংবা মফস্বল শহরে এখনো অভিভাবকরা ওইভাবে সচেতন হচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ সচেতন হলেও সন্তানকে সঠিকভাবে কাউন্সেলিং করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
অভিভাবক সচেতন হলেই শিক্ষার্থীর বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। অভিভাবকরা আন্তরিক হলেই শিক্ষার্থীর পড়াশোনা করা সহজ ও সাবলীল হয়। সচেতন অভিভাবকমাত্রই তিনি শিক্ষকের কাছে সন্তানের বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন। আবার একান্ত বন্ধুর মতো শিক্ষার্থীর সমস্যাগুলো বোঝার চেষ্টা করেন। ফলে শিক্ষার্থী শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশে জ্ঞান অর্জন করতে সমর্থ হচ্ছে।
অভিভাবকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বই হচ্ছে নিজের সন্তানের প্রতি যত্নবান হওয়া। যে অভিভাবক তার সন্তানের প্রতি বেশি যত্নবান ও আন্তরিক, সে অভিভাবকের সন্তান পড়াশোনায় তত ভালো। শিক্ষার্থী ভুল করতেই পারে। অভিভাবক অবশ্যই অন্যায়ের শাসন করবেন, তবে সেটা যেন নিপীড়ন ও মানসিক দুশ্চিন্তা না তৈরি করে। যদি শিক্ষার্থীকে কোনো বিষয়ে একবার ভালোভাবে বোঝানো যায়, তবে সেটি শিক্ষার্থী মনপ্রাণ দিয়ে ধারণ করবে এবং বাস্তবায়ন করতে শিখবে। তাই প্রত্যেক অভিভাবককে আমরা শিক্ষার পাশে কেবল ভালো পিতামাতা, ভালো বন্ধু এবং ভালো শিক্ষকের মতো দেখতে চাই।
শিক্ষার্থীরা অবশ্যই পড়াশোনা করবে। কিন্তু সারাদিনই কি সবকিছু ভুলে সে পড়াশোনা করবে? সে কি খেলবে না কিংবা সংস্কৃতির চর্চা করবে না? মনে রাখতে হবে, কেবল পড়াশোনা করাই জীবন নয়। জীবনের কেবলমাত্র একটি অংশ হচ্ছে পড়াশোনা। কিন্তু অনেক অভিভাবককে দেখি, যারা মনে করেন পড়াশোনা করাটাই হচ্ছে শিক্ষার্থীদের একমাত্র কাজ। প্লিজ, শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেবেন না। পড়াশোনা অবশ্যই তারা করবে, সেই সঙ্গে দিনের একটি অংশে তাদের খেলাধুলা কিংবা সংস্কৃতি চর্চার সুযোগও দিতে হবে। মানসিক বিকাশ ঠিক না থাকলে কোনো শিক্ষার্থী যতই পড়ুক না কেন, সে জীবনে ভালো কিছু করতে পারবে না।
সবার আগে আমরা সুস্থ, সবল, স্বাভাবিক মানুষ চাই। শিক্ষার্থীর মেধা ও মনন বিকাশের জন্য ক্ষেত্র তৈরী করে না দিতে পারলে সেটি সমাজের জন্যই আত্মঘাতী বিষয় হবে। সারাদিন পড়ার মধ্যে ডুবে থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থীদেরই জীবন সম্পর্কে বিতৃষ্ণা জন্মায়। জন্ম নেয় নানারকম হতাশা ও বিক্ষুব্ধতা। বিনোদনবঞ্চিত শিক্ষার্থীটি হয়তো কুরে কুরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের সন্তানই পরবর্তীকালে মাদকে আসক্ত হয়, বিপর্যস্ত জীবনযাপন করে। তাই সচেতন অভিভাবক হিসেবেঅবশ্যই শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার পাশাপাশি বিনোদন লাভের সুযোগ করে দিতে হবে।
অভিভাবক হিসেবে আপনার সচেতনতা ও আন্তরিকতা থাকলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে আমরা আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ বিনির্মানে সহায়তা করতে পারি।
এম. আরিফুজ্জামান,
সিনিয়র শিক্ষক (গণিত),
ইন্দুরকানী মেহেউদ্দিন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পিরোজপুর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

You cannot copy content of this page