হিজড়াদের প্রকাশ্য চাঁদাবাজি, অশ্লীলতা ও অসামাজিকতা সহ নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ কুলাউড়ার মানুষ। দিনে দুপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় তাদের এই অপকর্ম যেনো আইনকে প্রকাশ্য বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।
হিজড়ারা একসময় সাহায্যের নামে শুধু ট্রেনে চাঁদাবাজি করলেও এখন আর তা ট্রেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।হিজড়াদের চাঁদাবাজির পরিধি এখন শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে।
পুর্বে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি কুলাউড়ায় মাঝেমধ্যে হিজড়াদের আনাগোনা দেখা গেলেও বর্তমানে তারা চাঁদাবাজির নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে কুলাউড়াকেই বেচে নিয়েছে। চার পাঁচজনের একেকটি ঠিম করে হিজড়ারা কুলাউড়া স্কুল চৌমুহনী, আউটার সিগনাল এলাকা ও বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার এর সামনে অবস্থান করে নিয়মিত। বিয়ে বা ওয়ালীমাজাতীয় কোন অনুষ্ঠানের গন্ধ পেলেই বান্ধারা হাজির দল- বল নিয়ে। বিয়ের গাড়ী জোরপূর্বক আটক করে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। তাদের চাহিত চাঁদা না দেয়া পর্যন্ত গাড়ী নিয়ে চুল পরিমান সামনে এগোনোর সুযোগ নেই। বর ও বরযাত্রীর গাড়ীর সামনে দাড়িয়ে নানা অঙ্গভঙ্গি, হইউল্লাড়,নাচগান অশ্লীল অশ্রাব্য গালিগালাজ এবং কি সামান্য প্রতিবাদ করলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে লজ্জাস্থান প্রদর্শন করতেও কোন দ্বিধাবোধ করে না।
বিয়ে, ওয়ালীমা,আকিকা সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিবার পরিজনের ছোট বড়,পিতা পুএ,মা, মেয়ে ভাই বোন শিক্ষক,ছাএ,আলেম উলামা সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের অংশগ্রহন হয়।এসমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠানে হিজড়া সম্প্রদায় উপস্থিত হয়ে ফিল্মি কায়দায় যে অশ্লীলতা ও অসামাজিকতা প্রদর্শন করে তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।নিজেদের আত্ম সম্মান ও পারিবারিক মর্যাদা রক্ষার জন্য ইচ্ছার বিরুদ্ধেও হিজাড়াদের চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা পরিশোধ করতে হয়।সামান্য প্রতিবাদ মুখর হলেই হিজড়ারা লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে বসে।
হিজড়াদের এই অশ্লীলতা, অসামাজিকতা, ফিল্ম স্টাইলে চাঁদাবাজি ও অত্যাচার অতিদ্রুত বন্ধ করতে না পারলে যে কোন সময় সাধারণ জনসাধারণের সাথে গড়তে পারে বড় ধরনের সংঘর্ষ।,হতে পারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি।
তাই, অতি দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি সচেতন কুলাউড়াবাসীর।
You cannot copy content of this page