স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি নির্দেশনার পরও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো পর্যন্ত নিজস্ব ওয়েবসাইট না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে ওয়েবসাইট না থাকার কারণ এবং এর জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা, তা ইমেইলের (dd.hrm.dshe@gmail.com) মাধ্যমে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার মাউশির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রকাশ করা হয়, যা দেশের সব আঞ্চলিক পরিচালক এবং অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো হয়েছে। একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধান ‘ডেইলি আমাদের ফোরাম ডটকম’কে চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৪-২৫’ অনুসারে অধিদপ্তরের আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানকে হালনাগাদ করা সেবা প্রতিশ্রুতি ওয়েবসাইটে আপলোড ও প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে, এখনও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি, এমনকি অনেকের কোনো ওয়েবসাইটই নেই।
মাউশির কর্মকর্তারা জানান, সরকারি সেবাকে সহজলভ্য ও জবাবদিহিমূলক করার লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ওয়েবসাইট থাকা বাধ্যতামূলক। ওয়েবসাইট না থাকায় অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট নাগরিকরা প্রয়োজনীয় তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও নাগরিক সেবার মান ব্যাহত হচ্ছে।
একজন আঞ্চলিক পরিচালক জানান, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট না থাকা নিঃসন্দেহে একটি দুর্বলতা। এর মাধ্যমে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক বলেন, “ওয়েবসাইট তৈরির জন্য দক্ষতা ও অর্থের অভাব একটি বড় কারণ। তবে নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু নির্দেশনা দিলেই চলবে না; বরং প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় বাজেটও দিতে হবে।
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্যের পথে এগোতে হলে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো নিশ্চিত করা জরুরি—এতে কোনো সন্দেহ নেই।
You cannot copy content of this page