জাতীয় মানবাধিকার অলিম্পিয়াড ২০২৫-এর চূড়ান্ত পর্বে চতুর্থ স্থান অর্জন করে দেশের সেরা চার প্রতিযোগীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন কুলাউড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সামিরা ফেরদৌস। রাজধানী ও বিভাগীয় শহরের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। তার এই সাফল্য কেবল কুলাউড়ার নয়, পুরো সিলেট বিভাগের জন্যই গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে।
জাতীয় মানবাধিকার অলিম্পিয়াডে সারা দেশ থেকে হাজারো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রথমে বিভাগীয় বাছাইপর্বে সিলেট বিভাগের শীর্ষ ১৫-এ স্থান করে নেন সামিরা। এরপর সেখান থেকে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছান। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নটর ডেম কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজসহ দেশের বিভিন্ন নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কঠিন প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়ে সামিরা দেশসেরা চারজনের একজন হিসেবে নির্বাচিত হন।
চূড়ান্ত পর্ব শেষে আয়োজিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে দেশের মানবাধিকার ও আইন খাতের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (HRSS)-এর প্রধান উপদেষ্টা এবং গুম সংক্রান্ত অনুসন্ধান কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (BLAST), এবং ড. আসিফ নজরুল, উপদেষ্টা (আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক) বাংলাদেশ সরকার।
স্থানীয় শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সামিরার মতো শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করছে, রাজধানী কিংবা বড় শহর নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও মেধা ও প্রতিভা উঠে আসছে এবং জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করছে।
সামিরা বলেন, মানবাধিকার শুধু বইয়ের বিষয় নয়, এটা জীবনের জন্য অপরিহার্য। আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে সচেতন হওয়া খুব দরকার।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে সিলেট বিভাগ থেকে কেবল দুইজন শিক্ষার্থীই স্থান পান। তাদের একজন সামিরা, যা সিলেটবাসীর জন্য বিশেষভাবে গর্বের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অর্জন অঞ্চলিক বৈষম্যের প্রতিকূলে একটি শক্ত বার্তা।
You cannot copy content of this page