জামালপুর প্রতিনিধি: জীবনের আলো নিভে গেল কিশোরী সাথিয়া জান্নাত আলোর। বিদ্যালয়ের ছয়তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর আহত হওয়া এই স্কুলছাত্রী শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলো।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (নিটো)–তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আলো।
সাথিয়া জান্নাত আলো বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার জেলখানা রোডের বাবু মিয়ার মেয়ে। ২১ জুলাই, সোমবার বিকাল ৩ টার দিকে বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিলে গুরুতর আহত হওয়ার পর থেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিল।
সাথিয়া জান্নাত আলোর বড় বোন আখি আক্তার জানান, ২১ জুলাই সকালে হাসিমুখে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিদ্যালয়ে যায় সাথিয়া জান্নাত আলো। দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন। সে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের ভবন থকে ঝাঁপ দিতে বাধ্য হয়। আমার বোনের জীবন প্রদীপ নিভে গেল ওই শিক্ষকের কারণে। শিক্ষক নূর মোহাম্মদকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এ ঘটনায় সাথিয়া জান্নাত আলোর চাচা আবুল কালাম উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদকে দায়ী করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, সাথিয়া জান্নাত আলোর চাচা আবুল কালামের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You cannot copy content of this page