• শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে নিহত ৩। হাটহাজারীতে স্লুইসগেটের পুনঃনির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। থানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ধামইরহাটে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন মানিকগঞ্জে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ৫ নওগাঁয় অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার ৮ ধাপে আবেদন ফরম পূরণ ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির “সর্বজনীন পেনশন নয়, সরকারি পেনশনই চাই” — আন্দোলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ভালুকায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি বাকবিশিস’ ৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

“আনন্দমোহন কলেজের গেটরক্ষী কালা ভাই : এক নির্ভরতার প্রতীক”

ছামিউল ইসলাম রিপন / ১৩৮ বার দেখা
আপডেট : বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি : আনন্দমোহন কলেজের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে থাকা প্রিয় কালা ভাই শুধু একজন দারোয়ান নন, তিনি যেন কলেজের ইতিহাসেরই এক জীবন্ত অধ্যায়। প্রায় দুই দশক ধরে গেট পাহারা দিয়ে আসা এই মানুষটির মুখে সারাক্ষণ লেগে থাকে এক স্নিগ্ধ হাসি। ছাত্র-শিক্ষকদের কাছে তিনি ‘কালা ভাই’ নামেই পরিচিত, আর এই নামেই যেন তৈরি হয়েছে এক আত্মিক বন্ধন।

কালা ভাইয়ের পূর্ণ নাম কালাচাঁদ মিয়া। বয়স পেরিয়েছে ষাটের কোটায়, তবু কাজের প্রতি নিষ্ঠা আর শরীরের শক্তিতে এখনও পিছিয়ে নেই। ভোরের আলো ফোটার অনেক আগেই তিনি হাজির হন কলেজ ফটকে, আর দিন ফুরোলে তবেই বিদায় নেন। কলেজে আগত প্রত্যেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক কিংবা অভিভাবক—সবার মুখেই এক অভিন্ন কথা, “কালা ভাই আছেন বলেই আমরা নিশ্চিন্ত।”

ছাত্রদের কার কী সমস্যা, কে কখন কোন হলে ক্লাস করে—সব তার মুখস্ত। কোনো ছাত্র ফটকে বই ফেলে গেলে কিংবা কেউ অসুস্থ বোধ করলে, সবার আগে ছুটে যান কালা ভাই। গেটের শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি তিনি হয়ে উঠেছেন এক পরোক্ষ অভিভাবক। মাঝে মধ্যেই দেখা যায়, তিনি নিজের টাকায় কিনে দেন কোনো অসহায় ছাত্রের জন্য বিস্কুট কিংবা ওষুধ।

অনেক সময় দেখা গেছে, কলেজে বড় কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলে কালা ভাই নিজের উপস্থিতি আর অভিজ্ঞতা দিয়ে সামাল দিয়েছেন পরিস্থিতি। প্রশাসনের চোখে তিনি দায়িত্বশীল, শিক্ষকদের কাছে শ্রদ্ধার, আর ছাত্রদের কাছে এক অভয় দাতা।

প্রশ্ন করলে বিনয়ী কণ্ঠে বলেন, “এই কলেজটাই আমার সংসার। ছাত্রছাত্রীর মুখ দেখে ভালো থাকি। যতদিন বাঁচি, কাজটা করে যেতে চাই।”
তার এই কথায় মিশে থাকে মমতা, দায়িত্ব আর ভালোবাসা।

কালা ভাইয়ের মতো মানুষরা হয়তো পত্রিকার হেডলাইন হন না, তবু তারা প্রতিদিনই নির্মাণ করে চলেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নীরব ভিত্তি। আনন্দমোহন কলেজ গর্ব করতেই পারে তার মতো একজন অনুগত কর্মীকে নিয়ে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

You cannot copy content of this page