স্টাফ রিপোর্টার:রাণীনগরে বালতির পানিতে ডুবে তামান্না আক্তার (৮) নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় নানান জল্পনা কল্পনা চলছে। কেউ বলছে শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আবার কেউ বলছে বালতির পানিতে পরে মারা গেছে।
নিহত শিক্ষার্থী উপজেলার গুয়াতা মৃধা পাড়া গ্রামের প্রবাসী রাজন মৃধার মেয়ে ও স্থানীয় একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, গত ২০১৪ সালে তামান্নার মা সানজিদা আক্তারের সাথে প্রতিবেশি এরশাদ আলীর ছেলে রাজনের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। সানজিদা ওই গ্রামের সাজ্জাদ আলীর মেয়ে। এর পর ২০১৭সালে তামান্না মাতৃ গর্ভে থাকা অবস্থায় পিতা রাজন মালোয়েশিয়া চলে যান। তামান্নার জন্মের পর পারিবারিকভাবে বনিবনা না হওয়ায় গত ২০২০ সালে উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এর পর থেকে শিশু তামান্না মায়ের কাছেই ছিল। আমরা এরইমধ্যে আজ জানতে পারি সে বালতির পানিতে ডুবে মারা গেছে।
নিহতের মা সানজিদা আক্তার জানান, বুধবার সকাল অনুমান ১০টার দিকে তামান্নাকে বাড়ীতে রেখে প্রতিবেশির বাড়ীতে যাই। এর কিছু পর এসে তামান্নাকে খুঁজে না পেয়ে প্রতিবেশিরদের বাড়ীসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করি। এর পর বাড়ীর মধ্যে গোসল খানায় গিয়ে দেখতে পাই প্রায় ৩০লিটার পানির বালতির মধ্যে উপর হয়ে পরে আছে। আমার মেয়ের শ্বাস কষ্ট ছিল তাই খেলার সময় হয়তো বালতির মধ্যে পরে মারা গেছে।
অপরদিকে নিহত শিক্ষার্থীর দাদা এরশাদ আলী অভিযোগ করে বলেন, তামান্না ছোট মেয়ে নয় সে ২য় শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। এত বড় শিশু বালতির পানিতে পরে ডুবে মারা যেতে পারেনা। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি।
সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান বলেন, সংবাদ পেয়ে নিহতের লাশ আজ সন্ধ্যার সময় ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
You cannot copy content of this page