এস, এ হুমায়ুন,হাটহাজারী (চটগ্রাম) প্রতিনিধি। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ফখরুল ইসলাম (৫৮) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র বলছেন, নিহতের ১৫ বছর বয়সি মেয়েকে জোর করে বিয়ে করা নিয়ে সালিশ বৈঠক ডাকা হয়েছিল।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকালে উপজেলার সন্দ্বীপ কলোনির আমতলী মসজিদের দক্ষিণ পাশে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ফখরুল ওই এলাকার আমতলী ফয়জল মাওলার ছেলে।
হাটহাজারী মডেল থানার এসআই মো. নাজমুল হাসান ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সন্দ্বীপ কলোনি এলাকা থেকে দুজনকে আটক করেছে।
জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফখরুলের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল মায়মুনা রুমিকে তুলে নিয়ে যায় ওই এলাকার রিফাত ও তার সহযোগীরা। তাকে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিয়ে যায় তারা। পরে সেখানে রিফাত জোরপূর্বক ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ের রেজিস্টারে স্বাক্ষর করায়।
এদিকে, রুমিকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঘটনার দিন রাতেই হাটহাজারী মডেল থানায় জিডি করে তার পরিবার। এরপর হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে রুমিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। বিষয়টি সমাধানের জন্য শুক্রবার বিকালে আমতলী এলাকায় সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই সালিশে দুপক্ষই আসে। সালিশে থাকা গণ্যমান্যরা ভুক্তভোগী ছাত্রীর কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন মেয়ের বাবা ফখরুলের উপর হামলা চালায় এবং তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফখরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি আবু মাহমুদ কাউসার হোসেন বলেন, সালিশে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিহতের পরিবার মামলা করেনি। মামলা করলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You cannot copy content of this page