এমপিওভূক্ত শিক্ষা জাতীয়করনের দাবিতে ”এমপিওভূক্ত শিক্ষা জাতীয়করন প্রত্যাশি জোট”আগামী ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে।উক্ত সমাবেশকে সফল করতে বাংলাদেশের সকল জেলা এবং উপজেলায় প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২ আগস্ট হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রস্তুতিমূলক সভা সম্পন্ন হয়েছে।সভায় সভাপতিত্ব করেন মিয়াধন মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম আজমিরীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি তপন কুমার তালুকদার এবং সঞ্চালনা করেন পশ্চিম ভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তাইদুল ইসলাম খান।
উক্ত সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সিলেট বিভাগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃকেফায়েত উল্লা, যুগ্ম-মহাসচিব মোঃলুৎফর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মোঃআব্দুল মান্নান ভূইয়া যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃসাজন মিয়া,আজমিরীগঞ্জ উপজেলা শাখার শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃআনোয়ার হুসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃরফিকুল ইসলাম,অর্থ সম্পাদক ফারুক আহমেদ,প্রচার সম্পাদক মোঃমাসুদ রানা,মোঃআসাদুল হক খান এবং মোঃআব্দুল হামিদ
সভায় বক্তরা বলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষায় শিক্ষক-কর্মচারিগণের দীর্ঘদিন ধরে ২৫% উৎসবভাতা , ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া , ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা , কমিটি দ্বারা নির্যাতন, বদলী ব্যবস্থা না থাকা , শিক্ষক স্বল্পতাসহ বিভিন্ন বৈষম্য বিরাজমান।গত ঈদুল আজহা থেকে উৎসব ভাতা ২৫%থেকে ৫০% হলেও অন্যান্য বৈষম্য এখনো বিরাজমান। তাছাড়া সরকারের বিভিন্ন বৈষম্যমূলক নীতিমালার বেড়াজালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা দিন দিন দুসাধ্য হয়ে পড়ছে । তরুণ মেধাবীরা স্বল্প বেতনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় শিক্ষক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থাভাবে খন্ডকালীন শিক্ষক দ্বারাও পাঠদান করাতে পারছে না এতে করে শিক্ষার্থীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা উচ্চ বেতনে পড়ালেখা করলেও শহরে সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনে পড়া লেখা করানো হয় । এটা গ্রামের প্রান্তিক মানুষের প্রতি বৈষম্যই নয় বরং অবিচার। ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরুধী সরকারে থাকতে ছাত্ররা কেন বৈষম্যে থাকবে।
সভায় ১৩ তারিখের সমাবেশেকে সফল করতে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেক স্কুল থেকে কমপক্ষে ৪ জন করে শিক্ষক জাতীয় প্রেসক্লাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
You cannot copy content of this page