এমপিওভূক্ত শিক্ষা জাতীয় করনের দাবিতে ”এমপিওভূক্ত শিক্ষা জাতীয়করন প্রত্যাশি জোট”আগামী ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে।উক্ত সমাবেশকে সফল করতে বাংলাদেশের সকল জেলা এবং উপজেলায় প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ৪ আগস্ট হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় নহরপুর দাখিল মাদ্রায় এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রস্তুতিমূলক সভা সম্পন্ন হয়েছে।সভায় সভাপতিত্ব করেন নহরপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃজামাল আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন সৈয়দপুর ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃআলী আক্কাস মোল্লা।
উক্ত সভায় উপস্থিত থেকে সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল আফজাল হোসেন তালুকদার ,সুপার শামসুল হক,ভারপ্রাপ্ত সুপার হোসাইন আহমেদ,ইবি প্রধান মাওঃ ইব্রাহীম আলী প্রমুখ।
সভায় বক্তরা বলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষায় শিক্ষক-কর্মচারিগণের দীর্ঘদিন ধরে ২৫% উৎসবভাতা , ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া , ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা , কমিটি দ্বারা নির্যাতন, বদলী ব্যবস্থা না থাকা , শিক্ষক স্বল্পতাসহ বিভিন্ন বৈষম্য বিরাজমান।গত ঈদুল আজহা থেকে উৎসব ভাতা ২৫%থেকে ৫০% হলেও অন্যান্য বৈষম্য এখনো বিরাজমান। তাছাড়া সরকারের বিভিন্ন বৈষম্যমূলক নীতিমালার বেড়াজালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা দিন দিন দুসাধ্য হয়ে পড়ছে । তরুণ মেধাবীরা স্বল্প বেতনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় শিক্ষক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থাভাবে খন্ডকালীন শিক্ষক দ্বারাও পাঠদান করাতে পারছে না এতে করে শিক্ষার্থীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা উচ্চ বেতনে পড়ালেখা করলেও শহরে সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনে পড়া লেখা করানো হয় । এটা গ্রামের প্রান্তিক মানুষের প্রতি বৈষম্যই নয় বরং অবিচার। ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরুধী সরকারে থাকতে ছাত্ররা কেন বৈষম্যে থাকবে।
সভায় ১৩ তারিখের সমাবেশেকে সফল করতে নবীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেক স্কুল থেকে কমপক্ষে ৪ জন করে ১৫০ জন শিক্ষক জাতীয় প্রেসক্লাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
প্রত্যেক স্কুল এবং মাদ্রাসা থেকে কমপক্ষে ৪ জন করে আসবে।
You cannot copy content of this page