এমপিওভূক্ত শিক্ষা জাতীয় করনের দাবিতে ”এমপিওভূক্ত শিক্ষা জাতীয়করন প্রত্যাশি জোট”আগামী ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে।উক্ত সমাবেশকে সফল করতে বাংলাদেশের সকল জেলা এবং উপজেলায় প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ৬ আগস্ট বাহুবল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুর রব শাহিনের সভাপতিত্বে এবং ফতেহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃআব্দুল কাদের এর মনোমুগ্ধকর সঞ্চালনায় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বাহুবল ডিগ্রি কলেজে এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রস্তুতিমূলক সভা সম্পন্ন হয়েছে।
উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন,ছদরুল হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ এস এন নোমান, মানব কল্যান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান,মিরপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আলাউদ্দিন, ফয়জুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃজামাল উদ্দিন,বি.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জাব্বার,মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক মোঃহাবিবুর রহমান, পুটিজুরি শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক পংকজ কান্তি গোপ প্রমুখ।
সভায় বক্তরা বলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষায় শিক্ষক-কর্মচারিগণের দীর্ঘদিন ধরে ২৫% উৎসবভাতা , ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া , ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা , কমিটি দ্বারা নির্যাতন, বদলী ব্যবস্থা না থাকা , শিক্ষক স্বল্পতাসহ বিভিন্ন বৈষম্য বিরাজমান।গত ঈদুল আজহা থেকে উৎসব ভাতা ২৫%থেকে ৫০% হলেও অন্যান্য বৈষম্য এখনো বিরাজমান। তাছাড়া সরকারের বিভিন্ন বৈষম্যমূলক নীতিমালার বেড়াজালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা দিন দিন দুসাধ্য হয়ে পড়ছে ।
বক্তারা আরো বলেন তরুণ মেধাবীরা স্বল্প বেতনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় শিক্ষক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থাভাবে খন্ডকালীন শিক্ষক দ্বারাও পাঠদান করাতে পারছে না এতে করে শিক্ষার্থীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা উচ্চ বেতনে পড়ালেখা করলেও শহরে সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনে পড়া লেখা করানো হয় । এটা গ্রামের প্রান্তিক মানুষের প্রতি বৈষম্যই নয় বরং অবিচার। ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরুধী সরকারে থাকতে ছাত্ররা কেন বৈষম্যে থাকবে।
সভায় ১৩ তারিখের সমাবেশেকে সফল করতে বাহুবল উপজেলার প্রত্যেক স্কুল, মাদ্রাসা থেকে কমপক্ষে ৪ জন করে শিক্ষক জাতীয় প্রেসক্লাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
You cannot copy content of this page