“সবাই পেলে আমিও পাবো, আমি কেন ঢাকা যাবো?”—এই কথাটি এখন অনেক এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর মুখে শোনা যায়। কথাটির মধ্যে যে অসুস্থ আত্মকেন্দ্রিকতা ও দায়িত্ববিমুখতা লুকিয়ে আছে, তা হয়তো আমরা সচেতনভাবে উপলব্ধি করি না। কিন্তু এটিই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
একটি দাবি কখনও কেবল আবেগ বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে আদায় হয় না। দাবির পেছনে থাকতে হয় ত্যাগ, পরিশ্রম ও বাস্তব উপস্থিতির দৃঢ়তা। শিক্ষা জাতীয়করণ, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা কিংবা ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা আদায়ের আন্দোলন কোনো একক ব্যক্তির লড়াই নয়—এটি সম্মিলিত প্রয়াস।
আজ আপনি যদি মনে করেন, “আমি না গেলেও অন্যরা তো যাবে,” তাহলে আগামীকাল সেই ‘অন্যরা’ও ভাবতে শুরু করবে আপনার মতোই। তখন আর কেউ যাবে না, দাবিও আদায় হবে না।
সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামান্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়—নিজে যেতে না পারলে সহকর্মীকে পাঠায়, প্রয়োজনে অর্থসাহায্য করে—তাহলেই গড়ে উঠবে একটি কার্যকর, সম্মিলিত শক্তি। আর সেই শক্তিই পারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মুক্তির পথ প্রসারিত করতে।
এই মুহূর্তে প্রয়োজন দায়বদ্ধতা, নেতৃত্ব নয়—নিষ্ঠা, সুবিধাবাদ নয়।
অধিকার দাবিতে মুখ নয়, দরকার উপস্থিতি।
আসুন সবাই প্রেসক্লাবে, ইতিহাস হোক ১৩ আগস্ট।
ঐক্যের ভিত্তি—নিজেকে নয়, সবার কথা ভাবা।
মো: তানজিম হোসাইন
আহ্বায়ক, বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ (BUTC)
You cannot copy content of this page