বিশেষ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গিয়ে শিক্ষক দম্পতি লাঞ্ছিতের অভিযোগের পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক) ডা. মিজানুর রহমান। অন্য দুই সদস্য হলেন আবাসিক চিকিৎসক ডা. তাসনিম হোসেন আরিফ এবং চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. জয়নাল আবেদীন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষক দম্পতির অভিযোগ, গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকের নির্দেশে কয়েকজন কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবক তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও লাঞ্ছনা করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স চালক ইমন, স্বেচ্ছাসেবক বাপ্পি নাগ ও নাজমুল হক এবং নৈশপ্রহরী সোহেল রানা। তারা জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিফাত বিনতে জান্নাতের নির্দেশে এমন কাজ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
লাঞ্ছিতের শিকার ফতেপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক তাজিবুল হক বলেন, এই তদন্ত কমিটির সব সদস্যই একই হাসপাতালে কর্মরত। এতে নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কমিটিতে যদি উপজেলার অন্য কোনো দপ্তরের একজন কর্মকর্তা থাকতেন, তাহলে বিশ্বাস যোগ্যতা আরও বাড়ত। তারপরও আমরা আশা করছি, সিসিটিভি ফুটেজ ও ভাইরাল হওয়া ভিডিও বিশ্লেষণ করে সঠিক প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান। আমরা ইতোমধ্যে কয়েকজনের লিখিত বক্তব্য নিয়েছি। সব দিক বিবেচনা করে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক দম্পতির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You cannot copy content of this page