এম. আরিফুজ্জামান, নিউজ ডেস্ক:উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত কলেজটির কো-অর্ডিনেটর মাহরিন চৌধুরীর পুরস্কার চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, মাহরিন চৌধুরী স্কুলের শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে আত্মদান করেছেন। তিনি যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাই তার সাহসিকতার জন্য শিক্ষকদের জন্য ‘মাহরিন চৌধুরী অ্যাওয়ার্ড’ চালু করছে সরকার।
জানা গেছে, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গত ২১ জুলাই নিহত হন কলেজটির কো-অর্ডিনেটর মাহরিন চৌধুরী। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ নিহত হয়েছেন ৩৪ জন। দগ্ধ অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মাহরিন চৌধুরীর বাবার বাড়ি নীলফামারী জলঢাকা উপজেলা বগুলাগাড়ী চৌধুরীপাড়ায়। মহিতুর রহমান চৌধুরী ও সাবেরা খাতুন দম্পতির বড় মেয়ে তিনি। শিক্ষাজীবন শেষে ২০০২-০৩ সালের দিকে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত হন মাহরিন চৌধুরী। মৃত্যুর আগ পযন্ত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা মিডিয়াম শাখার তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির কো-অর্ডিনেটর ছিলেন।
তার শ্বশুরবাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চরআত্রাই গ্রামে। স্বামী মনছুর হেলাল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার। বৈবাহিক জীবনে দুই ছেলে সন্তান আয়ান রশীদ ও আদেল রশীদের মা ছিলেন মাহরিন। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাতিজি। জিয়াউর রহমানের মা জাহানারা বেগম এবং মাহরিন চৌধুরীর দাদি রওশনারা বেগম ছিলেন আপন বোন।
You cannot copy content of this page