পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত পেশা হচ্ছে শিক্ষকতা।একটা সময় এই পেশার জন্য মানুষ খুব আগ্রহ দেখাতো।কিন্তু বর্তমানে তার প্রতি নতুনদের কোন আগ্রহ নেই। কারণ এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টান স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ,সুপার সহ সকল শিক্ষক ও কর্মচারীর বাড়ি ভাড়া মাত্র ১০০০ টাকা।আর চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা। আর বেতন মাত্র ১২৫০০ টাকা তা দিয়ে বর্তমান বাজারে ১০ দিনেরও খাবার মুখে জুটবে না।বাংলাদেশে আর কোন পেশার এত কম বাড়ি ভাড়া আছে কিনা জানা নেই কারো। সবাই বলে শিক্ষকতা এক মহান পেশা বাস্তবে এই পেশায় মেধাবীরা কেউ আসতে চায় না। এর কারণ হচ্ছে কম বেতন।একটি পরিবারে মা,বাবা, স্ত্রী সন্তান থাকে তাদের ভরণ পোষণ যদি শিক্ষকতা করে না দিতে পারে তাহলে কেন মেধাবীরা এই পেশায় আসবে। একজন শিক্ষক বা তার পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে ভালো একজন ডাক্তারের কাছে যেতে পারে না।ধুকে ধুকে মৃত্যুর কোলে পড়তে হয়।কারণ টাকা নেই। ঈদ আসলে ভালো একটা জামাকাপড় সন্তাদের কিনে দিতে পারে না।কারণ বাজেট নেই।বিনোদনের জন্য ভালো একটা পার্কে যেতে পারে না।কারণ যে টাকা বেতন পায় তা দিয়ে সংসার চালানোই তো যায় না আবার বিনোদন।একজন শিক্ষক তার সন্তানদের ভালো একটা কলেজে ভর্তি করাতে পারে না অর্থের অভাবে।এতো কিছুর পরেও আমরা কিভাবে উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি।একজন শিক্ষক মুখ ফুটে তার মনের কষ্টগুলো কাউকে বলতে পারে না।কারণ তিনি যে মহান পেশায় চাকরি করেন তার জন্য।শিক্ষক যদি জাতি গড়ার কারিগর হয়,তাহলে তাদের সাথে কেন এত অবহেলা। ক্ষুধার্ত শিক্ষক দিয়ে কোনো দিন জাতি গঠন করা সম্ভব না। আর যদি জাতি গঠন করতে হয় তাহলে আগে শিক্ষকদের আর্থিক,সামাজিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।শিক্ষকদের অনেক কষ্ট যা লিখে শেষ করা যাবে না।শিক্ষক দরদী কেউ কি নেই বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করবে।আমরা আশা করবো শিক্ষক কর্মচারীদের এই দুরবস্থা অতি শীঘ্রই দুর হবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাণের দাবিসমূহ:
১। বাড়ি ভাড়া ৪৫%
২। শতভাগ উৎসব ভাতা।
৩। ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা।
৪। শ্রান্তি বিনোদন ভাতা।
৫। ১০% কর্তন বাতিল।
এই দাবিগুলো পুরণ হলে শিক্ষকরা কিছুটা হলেও স্বস্থি জীবনযাপন করবে।তাহলে দেশ ও জাতি দ্রুত উন্নতি লাভ করবে।কারণ শিক্ষক সুস্থ জাতি সুস্থ।
লেখকঃ সাইফুল ইসলাম
জুড়ী উপজেলা
You cannot copy content of this page