বাংলাদেশের প্রতিটি দপ্তর, প্রতিটি টেবিল, প্রতিটি মঞ্চে রাজনীতির খেলা চলে। ব্যতিক্রম নয় আমাদের শিক্ষক সমাজও। বছরের পর বছর দলীয় বিভাজনে বিভক্ত হয়ে আমরা কেবল নেতা নামধারী সুবিধাবাদীদের স্বার্থ পূরণ করেছি। তারা পেয়েছে ক্ষমতা, পদ, সুযোগ—আর আমরা পেয়েছি বঞ্চনা, শূন্য থালা আর অবমূল্যায়ন!
ভাইয়েরা আমার,
আর কতকাল অন্যের পারপাস সার্ভ করে নিজের অধিকার বিসর্জন দেবেন?
যারা অবসরে গিয়েও নেতৃত্ব আঁকড়ে ধরে মধু খেতে ব্যস্ত—তারা আপনাদের জন্য নয়, নিজেদের জন্য লড়ছে।
যতদিন আমরা দালালি করব, ততদিন আমাদের বঞ্চনা চলবেই।
আমাদের নেতারা আমাদের ভালো চায় না—তাই নিজেদের নেতা আমাদেরকেই হতে হবে!
মনে রাখবেন—
কোন মন্ত্রী, সচিব বা শিক্ষা অফিসার আমাদের সহায়তা ছাড়া বড় হয়নি।
আমরা না থাকলে তারা অকার্যকর, অথচ আমরা রাজপথে না নামলে তারা আমাদের কিছুই দেবে না।
আজ যদি চুপ থাকেন, কাল মর্যাদাহীন জীবনই আপনার নিয়তি হবে।
প্রতিটি শিক্ষক একজন অগ্নিগর্ভ আগ্নেয়গিরি—
এবার চুপ করে থাকা থামিয়ে গর্জে ওঠার সময় এসেছে!
এবার চোখে চোখ রেখে বলুন—
“আমার অধিকার চাই, ভিক্ষা নয়!”
১৩ আগস্ট—এটি শুধু একটি তারিখ নয়,
এটি শিক্ষক সমাজের জাগরণের দিন, মর্যাদা পুনরুদ্ধারের শপথের দিন!
এই দিনে রাজপথ হবে আমাদের গর্জনের সাক্ষী, সরকারের কাছে যাবে আমাদের বজ্রকণ্ঠের বার্তা—
“শিক্ষক মানে নেতা, দাস নয়!”
আসুন, দলদাস মানসিকতা ভেঙে ফেলি।
আসুন, অরাজনৈতিক ঐক্যে গড়ে তুলি এক দুর্বার শক্তি।
আসুন, রাজপথে দাঁড়িয়ে ছিনিয়ে আনি পূর্ণ মর্যাদা, ন্যায্য অধিকার, এবং জাতীয় মর্যাদা।
লেজুড়বৃত্তি ভাঙো—অধিকার গড়ো!
শিক্ষক জাগো—দেশ বাঁচাও!
মো: তানজিম হোসাইন
কলামিস্ট ও শিক্ষক
You cannot copy content of this page