বিশেষ প্রতিনিধি, ডেইলি আমাদের ফোরাম : এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাহিদা সংক্রান্ত ভুল ধরা পড়েছে ৫১৩টি প্রতিষ্ঠানে। এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মোট ৮০১টি পদে যে চাহিদা পাঠানো হয়েছে, তা যাচাই করে দেখা গেছে—পদসংখ্যা বা বিষয় নির্বাচনে ত্রুটি রয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আবেদনের ভিত্তিতে এই ভুল তালিকা শনাক্ত করা হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এবং প্রযুক্তিগত সহায়তাদানকারী টেলিটক লিমিটেড যৌথভাবে কাজ করছে যাতে এসব ভুল চাহিদার ভিত্তিতে কোনো প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ না করা হয়।
পূর্বে দেখা গেছে, ভুল চাহিদার কারণে আবেদনকারীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছিল। এবার সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এনটিআরসিএ ও টেলিটক শুরু থেকেই তদারকি জোরদার করেছে। তারা নিশ্চিত করতে চায়, ভুল পদে কেউ আবেদন করার সুযোগ না পান।
উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি-লেভেল শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ১৬ জুন ২০২৫। ২২ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ চলে এবং ১৩ জুলাই পর্যন্ত আবেদন ফি জমা নেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনকারীর বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের দিন (৪ জুন ২০২৫) অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। এছাড়া নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ধরা হয়েছে ফল প্রকাশের তারিখ থেকে তিন বছর।
এই বিজ্ঞপ্তিতে কেবল এমপিওভুক্ত পদে নিয়োগের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়। পদসংখ্যা হিসেবে—স্কুল ও কলেজে ৪৬,২১১টি, মাদরাসায় ৫৩,৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে ১,১১০টি পদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
২০০৫ সালে যাত্রা শুরুতে এনটিআরসিএ শুধু প্রাক-যোগ্যতা সনদ প্রদান করত, যার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা শিক্ষক নিয়োগ দিত। ২০১৫ সাল থেকে প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের সম্পূর্ণ দায়িত্ব এনটিআরসিএর হাতে আসে, যা বর্তমানে সারাদেশে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছে।
You cannot copy content of this page