বিশেষ প্রতিনিধি, ডেইলি আমাদের ফোরাম:
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সরকার বাড়ি ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব হিসেবে ১ হাজার টাকা বৃদ্ধির কথা জানালেও, শিক্ষক প্রতিনিধিরা তা শতাংশ ভিত্তিতে অন্তত ২০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানান। বৈঠকে শিক্ষকদের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাবনা দুই-এক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়, যা পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় উপস্থাপন করা হবে।

বৈঠক শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, জাতীয়করণ একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার। তবে শিক্ষকদের অন্যান্য দাবি বিবেচনায় নেওয়া হবে।

এদিন জাতীয়করণ প্রত্যাশী শিক্ষকদের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হয়। তারা হলেন অধ্যক্ষ মাইনুদ্দীন আহমেদ, অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজি, মো. রফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মো. আবু তালেব সোহাগ, আবুল বাশার, শান্ত ইসলাম, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন ও হাবিবুল্লাহ রাজু। পুলিশের মধ্যস্থতায় প্রতিনিধি দলটি বৈঠকে অংশ নেয়।

বৈঠকের আগে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে মহাসমাবেশ শুরু হয়। দেশের ৬৪ জেলা থেকে আগত শিক্ষক-কর্মচারীরা এতে অংশ নেন। সমাবেশের সফল আয়োজন নিশ্চিত করতে প্রতিটি বিভাগে ৮ জন করে সমন্বয়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যারা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয়কদের দায়িত্ব বণ্টন করেছেন।

শিক্ষকরা জানান, অংশগ্রহণকারীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে একাধিক বাস রিজার্ভ করা হয়েছে এবং ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন।

তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন সত্ত্বেও পূর্ববর্তী সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা ৪৪ দিনের অবস্থান কর্মসূচির পরও দাবি পূরণ হয়নি। এবার জাতীয়করণসহ সব দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের জন্য ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে কঠোর কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।