অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে অকৃতকার্য হওয়া প্রার্থীরা ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল বাতিল এবং সকল ভাইভা উত্তীর্ণদের ই-সনদ প্রদানের দাবিতে রাজপথে অবস্থান নিয়েছেন। সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একাধিকবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন তারা।
প্রার্থীদের অভিযোগ, অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় ব্যাপক অসঙ্গতি হয়েছে। তারা দাবি করেন, পরিকল্পিতভাবে বিপুল সংখ্যক প্রার্থীকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে, যা নজিরবিহীন। অনেক যোগ্য প্রার্থীকে ভাইভা বোর্ডে নামমাত্র প্রশ্ন করে বা সঠিক উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও ফেল করানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আন্দোলনরত প্রার্থীরা জানান, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভাইভা পরীক্ষায় গণহারে ফেল করানোয় তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তাদের মতে, এটি তাদের প্রতি চরম অবিচার। অনেক প্রার্থী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করেন, যেখানে “লিখিত পাস, ভাইভা ফাঁদ, মেধাবী কেন গেল বাদ?”, “চাকরি চাই না, সনদ চাই” ইত্যাদি স্লোগান লেখা ছিল।
বিক্ষোভকারীরা জানান, তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো:
* ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ত্রুটিপূর্ণ ভাইভা পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে পুনরায় মূল্যায়ন করা।
* ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা।
* অবিলম্বে ই-সনদ ইস্যু করা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী একজন প্রার্থী বলেন, “আমরা লিখিত পরীক্ষার মতো কঠিন ধাপ পেরিয়ে ভাইভা পর্যন্ত এসেছি। কিন্তু কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই আমাদের অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। কিছু বোর্ডে পাসের হার অস্বাভাবিকভাবে কম, যা ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আমরা আমাদের মেধার স্বীকৃতি চাই, চাকরি নয়, আমাদের ন্যায্য সনদ চাই।”
আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি আদায়ে একটি স্মারকলিপি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই ঘটনায় অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে এবং তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
You cannot copy content of this page