এস এ হুমায়ুন, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:এক মিনিটে ১০০টি গাছ লাগিয়ে অভিনব বৃক্ষরোপণ কর্মসূছি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরিবেশবাদী সংগঠন আওয়ার গ্রীণ ক্যাম্পাস। গত
রবিবার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
এসময় সংগঠনটির সদস্যরা একসাথে ফল ও ওষুধিসহ ১০০টি বৃক্ষরোপণ করেন এবং এসব গাছের পরিচর্যা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, অতীশ দীপঙ্কর হলের প্রভোস্ট এজিএম নিয়াজ উদ্দিন, সিনিয়র আবাসিক শিক্ষক নূরে আলম এবং আওয়ার গ্রীণ ক্যাম্পাসের সভাপতি জানে আলম ও সাধারণ সম্পাদক আয়শা সিদ্দিকা’সহ সংগঠনটির গভর্নিং বডি, এক্সিকিউটিভ বডি এবং সাধারণ সদস্যবৃন্দ।
এ কর্মসূচির আহ্বায়ক ও ক্লাবের গ্রীণ স্টোরি টেলিং টিমের রানা দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আমাদের অনেক কিছু দেয়। কিন্তু আমরা কী দিতে পারি এই পরিবেশকে? পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে খালি পড়ে থাকা জায়গায় গাছ লাগানোর ছোট্ট এক উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। একদিন সবাইকে এই ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে হবে, কিন্তু আমাদের স্মৃতি হয়ে এই গাছগুলো থেকেই যাবে। ভবিষ্যতে কখনো ফিরে এসে যখন এই গাছগুলোর ছায়ায় দাঁড়াব, সেখানেই হয়তো খুঁজে পাব প্রকৃত শান্তি।
অতীশ দীপঙ্কর হলের প্রভোস্ট এজিএম নিয়াজ উদ্দিন বলেন, অতীশ দীপঙ্কর হল একটি নতুন হল। এই হলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক একটি হল। এখানে আরে কাজ করার সুযোগ আছে। আওয়ার গ্রীণ ক্যাম্পাস শেষ সীমানার এই হলটিকে গুরুত্ব দিয়েছে বিষয়টি অত্যন্ত আনন্দের।
সংগঠনটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস এমনিতেই সবুজ। তারপরেও আমরা এসব সবুজায়ন কর্মসূচি পালন করছি যা ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করছে। এটা আমাদের একাডেমিক গ্রীনারির অংশ। এছাড়াও আমরা কালচারাল, একাডেমিক ও ইন্টেলেকচুয়াল গ্রীনারি নিয়েও কাজ করবো। এটা আওয়ার গ্রীণ ক্যাম্পাস মুভমেন্ট। সবার উচিৎ এতে অংশগ্রহণ করা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, আল্লাহ তালা আমাদের নান্দনিক সবুজ দিয়ে রেখেছে, তাই আমাদের এসবের পরিচর্যা করতে হবে। সাথে আমাদের একাডেমিক এক্সিলেন্স যুক্ত করতে হবে, শুধু গাছ-গাছালিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতি পাবে না। তবে আমরা সবুজের এই সমারোহকে রক্ষা করতে যা করার করবো। এই বর্ষাকালে আমরা বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করে পাহাড়ি এই ক্যাম্পাসকে সজীব রাখবো। আমি লক্ষ্য করেছি, আমাদের শিক্ষার্থীদের এসব কর্মকান্ডে আগ্রহ আছে।
You cannot copy content of this page