শিক্ষকদের পেটে ক্ষুধা রেখে মানসম্মত একটি শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন সম্ভব না। শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা দিতে যত বাঁধা অথচ দুহাজার কোটি টাকা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে খরচ করবেন এটা কোনো সমস্যা নয়। একজন এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাড়িভাড়া পান মাত্র ১০০০/- টাকা, এই একহাজার টাকায় বাংলাদেশের কোথাও বাসা ভাড়া পাওয়া যাবে? অথচ সরকারি একজন পিওন ও বাড়ি ভাড়া পান এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। তাহলে শিক্ষকরা কি সরকারি অফিসের পিওনের চেয়ে নিম্নমানের জিবন যাপন করবেন? একজন যখন চিকিৎসা ভাতা পান মাত্র ৫০০/- টাকা, যা একজন চিকিৎসক এর কাছে গেলে কয়েকগুণ বেশি খরচ হয়। কয়েকমাস আগে শিক্ষকদের কষ্টের কথা উপলব্ধি করে মাননীয় বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় তার শেষ কর্ম দিবসে ঘোষনা দিয়াছিলেন, সবচেয়ে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাই বাজেটে বরাদ্দ দিয়ে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা এবং শ্রান্তিভাতা বৃদ্ধি করবেন। এখন বাজেট শেষ হয়েছে, আপনারা এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের ভাতা বাড়ানোর জন্য বরাদ্দ রাখছেন এখন ভাতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেন। মাননীয় উপদেষ্টা আপনি আপনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে শিক্ষকদের কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবেন এটা আমরা প্রত্যাশা করি।
লোকমান হোসাইন
শিক্ষক ও কলামিস্ট
You cannot copy content of this page