• শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে নিহত ৩। হাটহাজারীতে স্লুইসগেটের পুনঃনির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। থানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ধামইরহাটে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন মানিকগঞ্জে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ৫ নওগাঁয় অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার ৮ ধাপে আবেদন ফরম পূরণ ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির “সর্বজনীন পেনশন নয়, সরকারি পেনশনই চাই” — আন্দোলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ভালুকায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি বাকবিশিস’ ৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

প্রধান শিক্ষকের চেয়ার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে উত্তাল মধুপুর – শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

samiul islam ripon / ৩৩ বার দেখা
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি, ডেইলি আমাদের ফোরাম : টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রানী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটে গেছে অনভিপ্রেত এক ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদের বড় ভাই আশরাফ মাসুদের নেতৃত্বে কিছু সমর্থক প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক প্রধান শিক্ষকের চেয়ার নিয়ে যান এবং প্রধান শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।

ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ৬ আগস্ট (বুধবার) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে কর্নেল আজাদের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা মধুপুরে সমবেত হন। একপর্যায়ে কর্নেল আজাদের উপস্থিতিতে তার ভাই আশরাফ মাসুদ প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকে চেয়ার নিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানালে প্রধান শিক্ষক দুর্ব্যবহারের শিকার হন এবং চাকরিচ্যুতির হুমকি পান।

প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল বাছেদ গণমাধ্যমকে বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্কুলে আসে। কর্নেল আজাদের জন্য তার ভাই আমার চেয়ার চান। আমি বলি, ‘আমি তো তাকে চিনি না।’ এরপর আমার অজান্তে চেয়ার নিয়ে যায় এবং দুর্ব্যবহার করে। আমি বিষয়টি মধুপুর থানায় অবহিত করেছি।”

মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবির গণমাধ্যমকে জানান, “প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের পর কর্নেল আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছি এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছি।”

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, “রানী ভবানী স্কুলে যা ঘটেছে, তা ন্যাক্কারজনক। আমরা দলীয়ভাবে এই ঘটনা সমর্থন করি না। তবে কর্নেল আজাদ আমাদের দলের কোনো পদে নেই, তাই দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই।”

ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে একাধিকবার অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজাদের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, ফলে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট যে, একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতাদের আগ্রাসী ভূমিকা শিক্ষার পরিবেশকে বিঘ্নিত করেছে। এ ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র একজন শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের অপমান নয়, বরং এটি শিক্ষাব্যবস্থা, নৈতিকতা ও শৃঙ্খলার ওপরও আঘাত।

এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও বড় আকারে পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে শিক্ষক, অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকরা আশঙ্কা করছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

You cannot copy content of this page